সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সফরের আগেই আক্রান্ত হলে ডায়মন্ড হারবার টাউনের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি সুরজিৎ হালদার। বৃহস্পতিবার সাতসকালে তাঁর উপরে তৃণমূল কর্মীরা আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। এর জেরে বর্তমানে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে বুধবার রাতে ডায়মন্ড হারবারের ২ নম্বর মন্ডলের সভাপতি শান্তনু মণ্ডলের বাড়িতেও একদল তৃণমূলকর্মী হামলা চালায় বলে অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বিজেপির আরও অভিযোগ, জেপি নাড্ডা (JP Nadda) সড়কপথে ডায়মন্ড হারবার আসবেন বলে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বিজেপির পতাকা লাগানো হয়েছিল। অনেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে দেখবেন বলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তৃণমূল কর্মীরা সেই সমস্ত পতাকা খুলে নেওয়ার পাশাপাশি বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে। হটুগঞ্জের মোড়ে তৃণমূলের মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ হয়েছে এলাকা।
তাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বেশ কয়েকজন বড় নেতা জেপি নাড্ডার সভা থেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এর জেরেই ভয় পেয়েছ তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এখানে আসার আগেই নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। আসলে চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে সবাইকে ভয় দেখাতে চাইছে শাসকদলের সদস্যরা।
বুধবার দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা। আর তা নিয়েই রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যথারীতি দমদম বিমানবন্দরে দলীয় সহকর্মীদের সংবর্ধনার পর হেস্টিংসে পৌঁছতেই আচমকাই নাড্ডার গাড়ির সামনে চলে আসেন বিক্ষোভকারীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এরপরই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগা শুরু করেন তিনি। এদিন বাংলার কৃষকদের আর্থিক দুরবস্থার কথা তুলে ধরে নাড্ডা বলেন, “বাংলাতে দুর্দশার শিকার কৃষকরা। এর জবাব ২০২১-এর ভোটে পাবে তৃণমূল। বিজেপি ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলা জয় করবে। মমতা সরকারকে উৎখাত করবে বিজেপি। করোনা কালে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার।” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, কৃষি আইন নিয়ে নিজেদের স্বার্থরক্ষায় কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।