মঙ্গলবার দুপুরে খড়্গপুর আইআইটি বাইপাসের উপর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে যুবকের নাম সুদীপ্ত কর। ঘটনার পরই ২৮ বছরের সুদীপ্তকে নিয়ে যাওয়া হয় খড়্গপুর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ জানিয়েছে, সুদীপ্ত কর নামের ওই যুবক পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা সুদীপ্তর উপর গুলি চালিয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঠিক কী কারণে সুদীপ্তর উপর এ ভাবে হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা পয়সা নেওয়া এবং সিকিউরিটি এজেন্সিতে লোককে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে সুদীপ্ত জড়িত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহ।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, এ দিন দুপুরে স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুদীপ্ত। সেই সময় খড়্গপুর আইআইটি বাইপাসের উপর একটি চায়ের দোকান এবং পেট্রোল পাম্পের মাঝে আচমকাই দুষ্কৃতীরা এসে গুলি চালায় সুদীপ্তর উপর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুদীপ্ত। কেউ কুছু বোঝার আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দিনেদুপুরে এ হেন শ্যুটআউটের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
তবে এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা রমাপ্রসাদ গিরি। তাঁর কথায়, “সুদীপ্তর পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সমর্থক। তবে ইদানীং বিজেপি’র বেশ কিছু কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সুদীপ্ত মেলামেশা করত।” রমাপ্রসাদবাবুর অভিযোগ, হয়তো টাকাপয়সা জনিত কোনও সমস্যার কারণেই সুদীপ্তকে খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত সে ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি শাসক দলের এই নেতা। কিন্তু সুদীপ্তর মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রেমচাঁদ ঝা বলেন, “এই ধরণের খুনের রাজনীতি বিজেপি করে না। এই ঘটনায় বিজেপি’র কোনও যোগ নেই। তবে দিনেদুপুরে এ ভাবে একজনকে রাস্তার মধ্যে গুলি করে মারা হলো। আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”