পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক ভারত ভূষণ ত্যাগী (Bharat Bhushan Tyagi) বলেন, যারা কৃষকদের সমর্থনে পুরস্কার ফেরত দিচ্ছেন, তাঁরা কৃষি কাজ করে পুরস্কার পান নি। তিনি বলেন, ওনারা শুধু মিথ্যে খ্যাতি অর্জন করার জন্য এই কাজ করছেন। পদ্মশ্রী ভারত ভূষণ বলেন, নতুন কৃষি আইন দ্বিপাক্ষিক দিক থেকে বোঝার দরকার। তিনি বলেন নতুন কৃষি আইন দ্বারা মধ্যস্থতাকারীদের দাসত্ব নির্মূল করা সম্ভব হবে। পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক ভারত ভূষণ বলেন, কৃষি আইন নিয়ে সরকারের অভিপ্রায়ে কোন ভুল নেই, বরঞ্চ নতুন আইন কৃষকদের জন্য নতুন বিকল্প খুলে দেবে।
তিনি বলেন, সবথেকে বড় গুজব ছড়িয়েছে যে কৃষি বাজার শেষ হয়ে যাবে, MSP বন্ধ হয়ে যাবে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের জমি দখল করে নেওয়া হবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল, সরকার বারবার আস্বস্ত করেছে যে MSP জারি থাকবে। গুডস অ্যাক্ট স্টোরেজ সংরক্ষণের বিষয়েও কথা বলেছে সরকার। কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে জমি দখলের কোনও ইস্যুই নেই। এটা কৃষকদের বোঝা উচিৎ। আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে তিনি আবেদন করেছেন যে, তাঁরা যেন কথাবার্তা চলাকালীন বিরোধের মানসিকতা না আপন করে। কারণ বিরোধিতার মানসিকতা আপন করলে আলোচনার কোনও পরিণামই আসবে না।
তিনি বলেন, কৃষক বাজারের মাধ্যমে কৃষকরা ফসলের সম্পূর্ণ দাম পেত না। এই কারণে একটি অর্থবহ প্রয়াসের প্রয়োজন ছিল যা এই আইনে আছে। উনি বলেন, যেসব কৃষকরা ভাবছেন যে তাদের ক্ষতি হবে, সেটা ভুল ধারণা। তিনি বলেন, যারা কৃষকদের সমর্থনে পুরস্কার ফেরত দিচ্ছে, তাঁরা চাষ করে পুরস্কার পায়নি। উনি সেসব মানুষদের একহাতে নিয়েছেন, যারা শুধুমাত্র খ্যাতি অর্জনের জন্য পুরস্কার ফেরত দিচ্ছেন।
লক্ষণীয়, দেশজুড়ে জৈব কৃষিতে নাম অর্জনকারী প্রগতিশীল কৃষক ভারত ভূষণ ত্যাগী ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এর থেকে পদ্মশ্রী পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন। বুলন্দশহরের বাসিন্দা ভারত ভূষণ ত্যাগী নিজেই জৈব চাষ করেন এবং দেশ বিদেশের কৃষকদের জৈব চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। আর এই কারণে উনি কৃষকদের মধ্যে খুবই সন্মানিয় একজন ব্যক্তি। ওনার নাম দেশের প্রগতিশীল কৃষকদের সাথে নেওয়া হয়। অনেকবার ওনার ফার্মে মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের বড়বড় আমলারাও গিয়েছেন আর ওনার জৈব চাষাবাদ নিয়ে তথ্য জড়ো করেছেন।