করোনার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছিল প্রথম ম্যাচ। আর সোমবার স্থগিত হল দ্বিতীয় ওয়ানডে’ও। ফলে একপ্রকার অনিশ্চিতই হয়ে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ। আর তার জেরে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে সম্প্রচারকারী চ্যানেল থেকে বোর্ড, সবাইকেই।
এদিন দুই ক্রিকেট বোর্ডের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, ইংল্যান্ড (England) শিবিরে দুজনের কোভিড টেস্ট হয়েছে। কিন্তু তাঁদের রিপোর্ট হাতে আসেনি। দুই বোর্ডই রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিল। তা দেখেই ম্যাচের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। কিন্তু কেপ টাউনে ম্যাচের দিনও তা না মেলায় ম্যাচ স্থগিত রাখার কথাই ঠিক করা হয়। কীভাবে এবং কবে তিন ম্যাচের সিরিজের এই দুটি ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হবে, তা আলোচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যা, তাতে সিরিজ ভেস্তে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে তেমনটা হলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড (CSA)। কারণ এই সিরিজে টেলিভিশন সত্ত্ব হিসেবে ৪.২ মিলিয়ন ডলার আয় করার কথা ছিল তাদের।
CSAর তরফে খবর, দক্ষিণ আফ্রিকার এক ক্রিকেটার করোনা পজিটিভ হতেই আতঙ্ক ছড়ায় টিম হোটেলে। সেই প্রেক্ষিতেই করোনা টেস্ট করান হোটেল কর্মীরাও। সেখানেই দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরই বাড়ে উদ্বেগ। জানা যায়, সুরক্ষিত কি না জানতে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও করোনা পরীক্ষা করান। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে ওঠে। তাই যেভাবে একটি ম্যাচ বাতিল ও একটি স্থগিত হল, তাতে প্রাক্তনীদের অনেকেই মনে করছেন, ভেস্তে যেতে পারে গোটা সিরিজটাই।
উল্লেখ্য, করোনা কালে বায়ো বাবলে থেকেই সিরিজ খেলেছে, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলি। বর্তমানে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজও চলছে। কিন্তু একদিকে যেমন নিউজিল্যান্ড সফরে করোনায় জর্জরিত পাকিস্তান শিবির, ঠিক তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড সিরিজও এখন সংকটে। এখন দেখার পরিস্থিতির মোড় কোন দিকে ঘোরে।