কৃষকদের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আস্থাশীল থাকার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ওপর কোন রকমের কাটছাঁট করা হবে না। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃষকদের আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে এই দিনের বৈঠকে কোন সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। ফলে পরবর্তী বৈঠক হবে ৯ ডিসেম্বর।
কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এমএসপি যেমন ছিল তেমনি থাকবে। একে কোনওভাবেই বিলুপ্ত করা হবে না। তবে তা সমাধান করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কেন্দ্র। নতুন আইনের ফলে রাজ্যগুলিতে থাকা মান্ডি ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। এপিএমসি-কে শক্তিশালী করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এর জন্য যেকোনও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত সরকার। এপিএমসি নিয়ে কারও মনের মধ্যে যদি ভুল ধারণা বাসা বেঁধে থাকে তা দূর করা হবে। কৃষক নেতাদের প্রস্তাবিত সমস্ত দিক বিবেচনা করা হবে। কৃষক নেতাদের থেকে পরামর্শ পেলে সমস্যার সমাধান করতে সুবিধা হবে। করোনা এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে আসা মহিলা এবং শিশুদের বাড়ি চলে যাওয়া উচিত। বিক্ষোভ ও বিরোধের পথ ছেড়ে কৃষকদের আলোচনায় বসা উচিত। একাধিক পর্যায় সরকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছে। আগামী দিনেও এই ধরনের বৈঠক এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক প্রশাসন। কৃষকদের কল্যাণার্থে মোদী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আগামী দিনেও সেই ধারা বজায় থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোদী সরকারের উপর আস্থাশীল থাকা উচিত কৃষকদের। কৃষকদের স্বাস্থ্যের দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নিষ্ঠা বজায় রাখার জন্য কৃষক নেতাদের ধন্যবাদ জানাই। এই দিনের বৈঠকে কোনও সমঝোতায় না আসার ফলে পরবর্তী বৈঠক হবে ৯ ডিসেম্বর। দুর্ভোগ কমাতে কৃষকদের উচিত বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেওয়া।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সর্বভারতীয় কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, কৃষক সংগঠনের তরফ থেকে প্রথম থেকেই বলে আসা হচ্ছিল তিনটি কৃষি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। কোন ভাবেই সংশোধন করলে চলবে না। পরবর্তী বৈঠক ৯ ডিসেম্বর হবে। আশা প্রকাশ করা যায় সরকার এই নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে। এদিন বৈঠক চলাকালীন কৃষক নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছে, বিক্ষোভ দেখানোর জন্য আগামী এক বছরের জন্য রসদ রয়েছে। সরকার যদি চায় আমরা রাস্তায় থেকে বিক্ষোভ দেখাই তবে তাই হবে। এতে কোন অসুবিধা নেই। হিংসার পথ কোনভাবেই কৃষক নেতারা নেবে না। আইবি তরফ থেকে প্রশাসনকে অবগত করানও হবে কৃষকরা কি কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.