ভারতে আরও কমল করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। কারণ গত বেশ কয়েক দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের থেকে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা বেশি হচ্ছে। সেই ছবিটাই ফের একবার দেখা গেল রবিবার। এদিনও দৈনিক সংক্রমণ ৩৬ হাজারের সামান্য বেশি। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯৬ লাখ। দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। তার ফলে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৯১ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৬ হাজার ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে ৬ ডিসেম্বর, রবিবার, সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ লাখ ৪৪ হাজার ২২২ জন।
বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজার ১৮২ জন। ভারতে করোনায় মৃত্যুহার ১.৪৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে উঠেছেন ৪১ হাজার ৯৭০ জন। ভারতে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৯১ লাখ ৭৯২ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৪.৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ এই মুহূর্তে দেশে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৮ জন। মোট আক্রান্তের ৪.১৮ শতাংশ রোগী এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রয়েছেন।
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৯ জন। মহারাষ্ট্রে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৯৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে কর্নাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৮৪৬ জনের। তিন নম্বরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৭১ হাজার ৩০৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭০২৪ জনের। চার নম্বরে রয়েছে তামিলনাড়ু। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৯২০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৭৭৭ জনের। পাঁচ নম্বরে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৫৭৪ জনের। ছ’নম্বরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৯০০ জনের।
মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ, এই ছয় রাজ্যেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫৫ লাখের কাছাকাছি। এই রাজ্যগুলি মিলিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৫ জন। এই সংখ্যা দেশের মোট আক্রান্তের ৫৭.৪৬ শতাংশ। এই ছয় রাজ্য মিলিয়ে মোট ৯৫ হাজার ৮১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশের মোট মৃত্যুর ৬৮.৩৫ শতাংশ।