প্যাংগং লেকের একাংশে জমাট বরফ। পূর্ব লাদাখের অন্য দুটি লেকেরও একই অবস্থা। হিমাঙ্কের অনেক নীচে তাপমাত্রা। ফলে রীতিমতো সঙ্কটে চিনা সেনা। শীতের সঙ্গে লড়াই করে সীমান্তপ্রহরা দিতে গিয়ে ক্রমশ মনোবল হারাচ্ছে তাঁরা, এমনই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন যে উপগ্রহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে প্যাংগং লেকের থেকে পেট্রলিং বোট সরিয়ে দিচ্ছে চিন। প্যাংগংয়ের কাছে রিমুতাং লেকে বোটগুলি রাখা হয়েছে। ওই এলাকার তীব্র শীত সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত নয় চিনা সেনা। ফলে রীতিমত বেকায়দায় পড়েছে তাঁরা।
ভারতীয় সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে লড়াই করতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাই পরিস্থিতি কঠিন হলেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ভারত। একই জায়গায় আরও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, চিনাদের থেকেও বেশি সময় ধরে একই জায়গায় অবস্থান করবে ভারতীয় সেনা।
শীতের কাঁপুনি সহ্য করা কঠিন। কিন্তু তাই বলে এলাকার দখলদারি থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। তাই, প্রবল ঠাণ্ডাতেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে চিনের সেনাবাহিনী। কিন্তু অতদিন ধরে থাকার ক্ষমতা নেই। তাই, রোটেশন পদ্ধতিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে চিন।কিন্তু কতদিন তা করা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
প্রথম যে এলাকায় জমাট বেঁধেছে বরফ, সেটি ভারতের দখলভুক্ত এলাকা থেকে মাত্র ৫ কিমি দূরে। পরের অংশটি কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সীমান্তে পাহাড়াদিতে এবার প্যাংগং নয়, চিনা সেনা আশ্রয় নিয়েছে রিমুতাং লেকের ধারে।
এখন ওই লেকের কাছে যে পেট্রলিং বোট দেখা যাচ্ছে, তা জুন জুলাই মাসে ফিঙ্গারস ৫ ও ফিঙ্গারস ৬-এর দিকে এগিয়ে এসেছিল। ৩০শে নভেম্বর পাওয়া উপগ্রহ চিত্র জানাচ্ছে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্যাংগং লেক এলাকা বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে ওঠে। ফলে আতঙ্কে রয়েছে চিনা সেনারা।
এদিকে, শীতের জামাকাপড় কেনার ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় সেনা। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে হওয়া LEMOA চুক্তির মাধ্যমেই এই জিনিসপত্র কেনা হচ্ছে। এই চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে খাবার, মেডিক্যাল সাপোর্ট সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের আদান প্রদান হবে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কেনা হবে জিনিস।