আবারও বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের নিশানায় রাজ্য সরকার। ‘গোটা দেশের মধ্যে বাংলাতেই কৃষক-শোষণ সবচেয়ে বেশি’, তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মন্তব্য কৈলাশের। বারাসতে ‘আর নয় অন্যায়’ শীর্ষক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এভাবেই শাসকদল তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিজয়বর্গীয়।
বিধানসভা ভোটের আগে সাধারণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা সরকারের। দিন কয়েক আগেই আমজনতার স্বার্থে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্য সরকার। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু রাজ্যের এই উদ্যোগকে ‘মরণকালে হরিনাম’ বলে কটাক্ষ করেছেন। একইসঙ্গে ‘দুয়ারে সরকার’ চালুর পরেই বিজেপিও ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্যের জেলায়-জেলায়। বারাসতে সেই কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
দিল্লির কৃষক বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিক্ষোভরত কৃষক নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকী সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দিল্লির বিক্ষোভস্থলে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকদের স্বার্থেই কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
এদিকে, কৃষকদের স্বার্থে আওয়াজ তুলতেই এবার তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপির। দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই কৃষকরা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত। কৃষকদের উপর শোষণ চলছে।’’
রাজ্যবাসী তৃণমূলকে চাইছে না, এমনকী দলের নেতা-মন্ত্রীরাও সরকারের কাজে বিরক্ত, এমনই দাবি এই বিজেপি নেতার। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের মন্ত্রীরা সরকারের কাজে অখুশি। সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে আর চাইছেন না। দুর্নীতি, তোলাবাজি কেউই পছন্দ করেন না।’’