দেশজুড়ে কৃষক বিক্ষোভে সামিল হয়েছে প্রায় ৫০০ কৃষক সংগঠন। দিল্লির বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা। ইতিমধ্যেই আলোচনার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার মাঝেই এবার মন কি বাতে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, কৃষকদের বহুদিনের দাবি মেনেই এই নতুন কৃষি আইন আনা হয়েছে। এই আইন দেশের কৃষকদের দাবিই পূরণ করছে।
রবিবার নিজের রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “গত কিছুদিনে কৃষিতে যে বিবর্তন হয়েছে তা আমাদের দেশের কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা খুলে দেবে। যে দাবিগুলি কৃষকরা বহু বছর ধরে করে এসেছেন, যে দাবি প্রতিটি রাজনৈতিক দলই কোনও না কোনও সময় পূরণ করার কথা বলেছে, সে দাবিই পূরণ করা হয়েছে।”
আইন নিয়ে আসার পরে অল্প সময়ের মধ্যে তা কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতেও শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অনেক সমস্যার পরে ভারতের সংসদ কৃষি আইনের সংশোধনের ব্যাপারে আইনত পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সংশোধনী শুধুমাত্র দেশের কৃষক ভাইদের পায়ের শিকল কেটে ফেলেছে তাই নয় তাদের সামনে নতুন নতুন সম্ভাবনা তুলে ধরেছে।”
উদাহরণ স্বরূপ অনুষ্ঠানের মাঝেই মহারাষ্ট্রের ধুলের এক কৃষকের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। গত চার মাস ধরে তাঁর ফসলের দাম মেটানো হয়নি। তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কৃষকের কাছ থেকে ফসল কিনে টাকা না দেওয়া বহুদিনের প্রথা। এতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। কিন্তু এবার আইনে সংশোধনী আনার ফলে সেটা আর হবে না। ফসল কেনার তিনদিনের মধ্যে কৃষকদের সব বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন কৃষকরা।”
অবশ্য দেশের ছটি রাজ্য থেকে যে হাজার হাজার কৃষক দিল্লি গিয়েছেন তাঁদের দাবি এই নতুন আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এই আইনের ফলে কৃষকদের অনেক সমস্যা হবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। তাই নিজেদের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলতেই তাঁরা দিল্লি এসেছেন।
এরমধ্যেই শনিবার কৃষকদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেছেন, “সরকার কৃষকদের সব সমস্যা ও দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে রাজি।” তিনি আরও জানান, ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র। যদি কৃষকরা তার আগে আলোচনায় বসতে চান, তাহলে তাদের সরকারের দেখিয়ে দেওয়া একটি জায়াগায় বিক্ষোভে বসতে হবে। এই বার্তার পরে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে বৈঠকে বসেছে কৃষক সংগঠনগুলি।