গতকালের তুলনায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার। এদিন তা বেড়ে ৪২ হাজার হয়েছে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯৪ লাখের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এদিনও ৫০০-র কম। যদিও তা গতকালের তুলনায় খানিকটা বেড়েছে। এদিনও দৈনিক আক্রান্তের থেকে বেশি দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজারের বেশি আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮৮ লাখ পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১ হাজার ৮১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে ২৯ নভেম্বর, রবিবার, সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ লাখ ৯২ হাজার ৯১৯ জন।
বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৬ জন। ভারতে করোনায় মৃত্যুহার ১.৪৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে উঠেছেন ৪২ হাজার ২৯৮ জন। ভারতে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৮৮ লাখ ২ হাজার ২৬৭ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৩.৭১ শতাংশ। অর্থাৎ এই মুহূর্তে দেশে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫৬ জন। মোট আক্রান্তের ৪.৮৩ শতাংশ রোগী এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রয়েছেন।
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৫১৫ জন। মহারাষ্ট্রে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৮৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে কর্নাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৮২ হাজার ৬০৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৭৫০ জনের। তিন নম্বরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৯৮১ জনের। চার নম্বরে রয়েছে তামিলনাড়ু। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৬৯৪ জনের। পাঁচ নম্বরে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৪২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৯৯৮ জনের। ছ’নম্বরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৯৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৭১৮ জনের।
মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ, এই ছয় রাজ্যেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ লাখের বেশি। এই রাজ্যগুলি মিলিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৩ জন। এই সংখ্যা দেশের মোট আক্রান্তের ৫৭.৯৭ শতাংশ। এই ছয় রাজ্য মিলিয়ে মোট ৯৪ হাজার ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশের মোট মৃত্যুর ৬৮.৮৬ শতাংশ।