শুভেন্দু অধিকারীকে জল্পনার শেষ নেই! বিজেপি না তৃণমূলে? কোন রাস্তায় শেষ পর্যন্ত হাঁটবেন ‘জননেতা’ সেদিকেই তাকিয়ে এখন সভায়। এই পরিস্থিতিতে ফের বড়সড় ভাঙন তৃণমূলে। নদিয়ার কুপার্সে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বঙ্গ বিজেপি। সেখানে দিলীপ ঘোষের সভা ছিল। তাঁর হাত ধরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন দুই প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর।
বিজেপিতে যোগদানকারী চম্পা মাঝি দু’বারের কাউন্সিলর, তাঁর স্বামী পরিতোষ মাঝি একবার কাউন্সিলর হন। তিনি কুর্পাস শহরের যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পদে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বহু কর্মী। সামনেই বিধানসভা ভোট। আর সে ভোটের আগে নদিয়াতে শক্তিক্ষয় তৃণমূলের।
প্রভাবশালী দুই বিধায়কের বিজেপিতে যোগদানের পরেই বিজেপি নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, আগামী নির্বাচনে বাংলায় ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, আগামীদিনে আরও মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসবে বলেও দাবি দিলীপ ঘোষের।
অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়েই পুরনো দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেছেন, গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী আবির বিশ্বাসকে আমার ওয়ার্ড থেকে লিড দিই, কিন্তু পরের বছর আমাকে টিকিট দেওয়া হয়নি, দল আমার সঙ্গে বেইমানি করেছে। যদিও পাল্টা দলত্যাগী নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কুপার্স শহর তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ কুমার দাস।
তিনি বলেছেন, পরিতোষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বহু মানুষ অত্যাচারিত, দল দায় নেবে না বলেই ওঁকে আগের ভোটে প্রার্থী করা হয়নি। ও চলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না। পাল্টা স্থানীয় বিজেপির শহর সভাপতি দীপক দে-র দাবি, তৃণমূলের দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ ৫০০ জন আমাদের দলে যোগ দিয়েছে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হল।
অন্যদিকে, মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগের জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। গেরুয়া শিবিরেরও দাবি, তাঁদের দলেই আসছেন শুভেন্দু। শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিজেপি সূত্রে এও জানা যাচ্ছে যে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কলকাতা সফরেই কি শুভেন্দুর দলবদল একপ্রকার নিশ্চিত।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাসের ৭, ৮ ও ৯ তারিখে বাংলা সফরে আসছেন নাড্ডা। ওই সময়ই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। সূত্রের খবর, শহিদ মিনারের জনসভায় গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন শুভেন্দু। এমনটাও রাজনৈতিকমহলে জল্পনা রয়েছে।