সরকার ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) এর শেয়ার বিক্রি করতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপিসিএল এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করে এমন ৭ কোটিরও বেশি গ্রাহকের মনে ভর্তুকি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। জনসাধারণের এই প্রশ্ন নিয়ে সরকার ব্যাখ্যা দিয়েছে।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, বিপিসিএলের বেসরকারিকরণের পরেও তার গ্রাহকরা এলপিজি’তে ভর্তুকি পেতে থাকবে। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “এলপিজিতে দেওয়া ভর্তুকি সরাসরি ভোক্তাকে দেওয়া হয়, কোনও সংস্থাকে নয়। সুতরাং এলপিজি বিক্রয়কারী সংস্থার মালিকানা ভর্তুকিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না। “
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকার প্রতিটি পরিবারের ক্ষেত্রে প্রতি বছর ভর্তুকি হারে সর্বাধিক ১২ টি এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি দেয়। এই ভর্তুকি সরাসরি গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়।
গ্রাহকরা ডিলারের কাছ থেকে বাজার মূল্যে এলপিজি কিনে নেন। এরপর গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা আসে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), বিপিসিএল এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (এইচপিসিএল) এর এলপিজি-র ওপর গ্রাহক সরকার কর্তৃক ভর্তুকি পান।
সরকার বিপিসিএলে তার পুরো ৫৩ শতাংশ শেয়ার-ই বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশের মোট ২৮.৫ কোটি এলপিজি গ্রাহকের মধ্যে ৭.৩ কোটি গ্রাহক বিপিসিএলের অন্তর্ভুক্ত। ফলে শেয়ার বিক্রির খবরে যথেষ্ট আশঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা।