কালো দিন ২৬/১১: ভারতের ২০ বছরের ইতিহাসে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা

১২ বছর পেরিয়ে গেল একটা কালো দিনের। ২৬ নভেম্বর ২০০৮-এ মুম্বইয়ে ভয়ংকর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। আরব সাগর থেকে মুম্বইয়ে এসে হামলা চালায় ১০ জন জঙ্গি। এই হামলা নাড়া দিয়েছিল পুরো বিশ্বকে। আজ আলোচনা করা হল সেই সব হামলা নিয়ে যা বিগত ২০ বছরে নাড়িয়ে দিয়েছে দেশকে।

১৯ বছর আগে ২০০১ সালে জঙ্গি হানা হয় সংসদ ভবনে। সেই সময় শীতকালীন অধিবেশন চলছিল তবে উভয় কক্ষের কার্যক্রম স্থগিত ছিল। কেউ অবশ্য ভাবেনি যে জঙ্গিরা দেশের সংসদে পৌঁছতে পারে। লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ এর জঙ্গিরা এই হামলা চালায়। নিরাপত্তারক্ষীরা ৫ জন জঙ্গিকে খতম করে। অন্যদিকে মৃত্যু হয় ৯ জনের।

এরপর ২০০৬ সালে মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেনে ৭ টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এই বিস্ফোরণে জড়িত ছিল। এতে মৃত্যু হয় ২১০ জনের। আহতর সংখ্যা ছিল ৭১৫ জন।

২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ সাল, ফের কালো স্মৃতি। মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে জঙ্গিরা তিনটি বিস্ফোরণ ঘটায়। নিহত হয় প্রায় ৩২ জন। আহত ১০০ জনেরও বেশি।

২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এক্সপ্রেস ট্রেনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মৃত্যু হয় ৬০ জনেরও বেশি। আহত হয় ১২ জন। ট্রেনটি দিল্লি থেকে লাহোর যাচ্ছিল। নিহতদের বেশিরভাগই পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন।

২০০৮ সালে ১৩ মে জয়পুরে বিস্ফোরণে নিহত হয় ৮০ জন। আহত ১৭০ জন। এক্ষেত্রে এমন ৩ জঙ্গির নাম সামনে এসেছিল, যাদের নাম পরপর বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ছিল।

২০০৮ সালে আহমেদাবাদে সিরিয়াল বিস্ফোরণে ২১ টি বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৫০ জনের। এ ছাড়াও ৩০ শে অক্টোবর গুয়াহাটির বিভিন্ন জায়গায় ১৮ টি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

২৬ নভেম্বর ২০০৮-এ মুম্বইয়ে ভয়ংকর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। আরব সাগর থেকে মুম্বইয়ে এসে হামলা চালায় ১০ জন জঙ্গি। নির্বিচারে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ১৮০ জন নিহত হয় ও ৩০০ জনেরও বেশি আহত।

২৫ জুন ২০১৬ কাশ্মীরের পাম্পোরে জঙ্গি হানার শিকার হয় সিআরপিএফের একটি বাহিনী। হামলায় শহিদ হন কমপক্ষে ২০ জন। এরপরে চলে উরি হামলা।

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সিআরপিএফের ওপর হামলা চালানো হয়। ভালোবাসার দিনে মৃত্যু হয় ৪০ জন সেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.