ধর্মতলায় পথ অবরোধ, বঙ্গের বিভিন্ন স্টেশনে আটকানো হল ট্রেন

কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় টায়ার পুড়িয়ে পথ অবরোধ, শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে ‘রেল-রোকো’ কর্মসূচি। সবমিলিয়ে ধর্মঘটের প্রভাব লক্ষ্য করা গেল পশ্চিমবঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম এবং কৃষি আইন-সহ নানা নীতির প্রতিবাদে এবং ৭ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। ধর্মঘটের দিনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামেন বাম এবং কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। এদিন সকালেই ধর্মতলায় টায়ার পুড়িয়ে পথ অবরোধ করেন ধর্মঘটের সমর্থনকারীরা। যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বামেদের মিছিল শুরু হয়।
গড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় ধমর্ঘটের সমর্থনে মিছিল বার করেন বামেরা। কামালগাজি মোড়ে সরকারি বাসের লুকিং গ্লাস ভেঙে চালককে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ধর্মঘটের দিনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নাগেরবাজার মোড়েও পথে নেমেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে যশোর রোডে রাস্তায় বসে পড়েন ধর্মঘটীরা। নাগেরবাজারে অবরোধ করেন বাম এবং কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।
বিভিন্ন স্টেশনে আটকানো হয়েছে ট্রেন। হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার চন্দননগর এবং শ্রীরামপুরে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। ধর্মঘটের সমর্থনে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ায় রেল রোকো কর্মসূচি পালন করেন বামেরা। ডায়মন্ডহারবার শাখার সংগ্রামপুর স্টেশনেও অবরোধ দেখান বামেরা। ফলে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়। শিয়ালদহ-বারাসত শাখার নিউ ব্যারাকপুরে স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। সুভাষগ্রামে সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। ইছাপুরেও রেল অবরোধ করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.