পশ্চিমবাংলায় ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের শরীরে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রয়েছে করোনাভাইরাস। মৃত্যু হয়েছে আট হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রতি দশ লক্ষ মানুষের নিরিখে আক্রান্ত হচ্ছেন ৪৫৮২ মানুষ। সব মিলিয়ে, সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়া রাজ্যগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এ রাজ্য। এমনটাই বলছে পরিসংখ্যান।
দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশি সংক্রমণ নিয়ে প্রথম তিনে রয়েছে, মহারাষ্ট্র, কেরালা, দিল্লি। এই তিন রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা যথাক্রমে ৮২ হাজার ৫২১, ৬৫ হাজার ৯৮২ এবং ৪০ হাজার ২১২। এ তিন রাজ্যে মোট মারা গেছেন যথাক্রমে ৪৬ হাজার ৬২৩, ২০৪৯ এবং ৮৩৯১।
ঠিক এমনই পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, যে কোনও রকমের টিকাকরণ প্রোগ্রামের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুরোপুরি তৈরি। প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মী এবং সবরকম পরিকাঠামো আছে রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে এবং অন্য যে কোনও সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। ভ্যাকসিন আসার পরেই তা যাতে যত দ্রুত সম্ভব সকলের কাছে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করাটাই আমাদের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে আরও জানান, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছটপুজোর মরসুমের পরেও এ রাজ্যে করোনা পজিটিভ হওয়ার রেট কমছে। কমছে মৃত্যুহারও। একইসঙ্গে বাড়ছে ডিসচার্জ রেটও। একাধিক রাজ্য ও অন্য দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে এ রাজ্যের। অন্য রাজ্য থেকে এ রাজ্যে চিকিতসা করাতে আসা রোগীর সংখ্যাও কম নয়। তার পরেও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন সব স্তরের প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের কথাও। মনে করিয়ে দেন, করোনায় যত মৃত্যু হয়েছে তার অনেকটারই কারণ কো-মর্বিডিটি, যা এখন প্রমাণিত। তিনি জানান, রাজ্যের আশা কর্মীরা ইতিমধ্যেই ৪৫ কোটি পরিবারে ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা প্রচার করেছেন। তবে এই কোভিড যুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার যে পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য করছে না রাজ্যগুলিকে, তাও উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।