কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ প্রতি দাম নির্ধারণ করে ফেলল সেরাম ইনস্টিটিউট। সোমবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সেরামের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, কেন্দ্রকে তাঁরা যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে তার ডোজ প্রতি দাম হবে ২৫০ টাকা। ফার্মেসিগুলোকে দেওয়া হবে এক হাজার টাকায়।
পুনাওয়ালা আরও বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিন চলে আসবে। জানুয়ারির মধ্যে তারা ১০০ মিলিয়ন তথা ১০ কোটি ডোজ প্রস্তুত করবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও ১০০ মিলিয়ন ডোজ প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এখনও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি কোনও ভ্যাকসিন। একাধিক সংস্থা দাবি করেছে ৯০ শতাংশ বা তার বেশি কার্যকর তাদের ভ্যাকসিন। চূড়ান্ত ট্রায়াল শুরু হয়েছে কোভ্যাকসিনেরও। এর মধ্যেই টিকাকরণ নিয়ে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নীতি আয়োগের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ভ্যাকসিন বণ্টনের কৌশল নিয়ে ওই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাদের আগে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তার অগ্রাধিকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে ভ্যাকসিন বণ্টন করতে গেলে সরকারকে নির্দিষ্ট নীতি বা মানদণ্ড স্থির করতে হবে। তা না হলে একসঙ্গে ১৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয়। ফাইজার থেকে অক্সফোর্ড– সবাই দাবি করছে একুশের গোড়াতেই ভ্যাকসিন মিলবে।
গত ২ অক্টোবর টিকার চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি চেয়েছিল ভারত বায়োটেক। নানা কারণে সেই আবেদন মঞ্জুর হতে দেরি হয়। কীভাবে টিকার ট্রায়াল হবে এবং কতজনকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে তার নিয়ম বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কৃষ্ণা এল্লার সংস্থা জানিয়েছে, তৃতীয় পর্বে ২৮ হাজার ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে।