রাজ্যে গরুদের নিরাপত্তার জন্য গঠিত হয়েছে বিশেষ ‘গো মন্ত্রক’ (Gau cabinet)। এবার তাদের কল্যাণের জন্য জনগণের কাছ থেকে আলাদা করে কর নেওয়াও হতে পারে। এমনই ভাবনাচিন্তা করছে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকার। রবিবার গোপাষ্টমী উপলক্ষে আগর মালোয়ায় ‘কামধেনু গো অভয়ারণ্যে’ বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা সবসময় আমাদের খাবারের থেকে কিছু অংশ গরু এবং কুকুরদের জন্য রেখে দি। কিছু কিছু ক্ষেত্রেই এটা মেনে চলা হয়। তাই আমি চাই জনগণের কাছ থেকে আলাদা করে কিছু কর নেওয়া হোক। ওই টাকা গরুদের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে।’’ শুধু তাই নয়, গরুদের জন্য ২০০০টি শেলটার হোম গঠন করা হবে। একাধিক NGO সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করবে। এমনকী গো ক্যাবিনেটের প্রথম বৈঠকে মন্ত্রী পরিষদ সমিতি গঠনের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, অঙ্গনওয়াড়িতে শিশুদের বিনামূল্যে গরুর দুধ খাওয়ানো হবে।
২০১৭ সালে দেশের প্রথম গো অভয়ারণ্য ‘কামধেনু গো অভয়ারণ্য’ নির্মিত হয় মধ্যপ্রদেশের আগর মালোয়ায়। প্রায় ৩২ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল ওই অভয়ারণ্য। সেই আগর মালোয়াতেই গো মন্ত্রকের প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হল।
গত আগস্টে মধ্যপ্রদেশ সরকার বার্ষিক ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্যের সরকারি গোশালার ১ লক্ষ ৮০ হাজার গরুর জন্য। অর্থাৎ দৈনিক হিসেবে তা দাঁড়ায় ১.৬ টাকা। যা আগের বছরই ছিল কুড়ি টাকা। গত আর্থিক বছরে পশুপালন বিভাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ১৩২ কোটি টাকা। রাতারাতি ৯০ শতাংশ খরচ কমিয়ে দেওয়া হয় বাজেটে। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। সরকারের তরফে সকলের কাছে অনুদান চাওয়া হয় ঘাটতি মেটাতে। কিন্তু তাতেও তেমন সাড়া মেলেনি। সবমিলিয়ে শিবরাজ সরকারের ওই পদক্ষেপটি বেশ সমালোচিত হয়। বলা হয়, সরকারের ধার্য করা অর্থে পশুপালন বিভাগের অন্য সব খাতে খরচ বাদ দিলেও কেবল গরুদের খাওয়ানোর বিষয়টিই প্রবল সমস্যার মুখে পড়বে। এরই কয়েক মাসের মধ্যে এবার এই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।