জেলায়-জেলায় লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি মেলার পরই তৎপরতা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার বৈঠকে বসছে রেল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকার। নবান্নের আয়োজিত এই বৈঠকে কোথায় কত সংখ্যক ট্রেন চলবে তা যেমন ঠিক হবে, তেমনই করোনা বিধি সংক্রান্ত পালনীয় কর্তব্য স্থির হবে।
প্রথম দফায় রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে গত ১১ নভেম্বর থেকে। কিন্তু সেই সময় বেশ কিছু নন-সাবার্বান রুটে রেল চলাচলের অনুমোদন দেয়নি নবান্ন। এ দিকে জেলার বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নন-সাবার্বান বিভাগে ট্রেন না চলায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়, যার চাপ এসে পড়ে প্রশাসনের উপরে।
ফলে বাধ্য হয়েই রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় নবান্ন। পরিবহণ সচিব রাজেশকুমার সিনহা। পূর্ব রেলের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
উল্লেখ্য, ট্রেন চলায় মহানগরের সঙ্গে রেলসূত্রে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু জেলা। তবে এখনও ব্রাত্য বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানের একটি বড় অংশ। বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে চলছে না লোকাল ট্রেন।কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় ট্রেন চলছে না।
আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট শাখায়ও ট্রেন বন্ধ। বহরমপুরের সাংসদ অধীর চোধুরী রেলমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছেন। হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বীরভূম জেলার কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন জেলায় লোকাল ট্রেন চালুর জন্য। স্টেশন মাস্টারকে স্মারকলিপি দেওয়া দিয়েছেন তিনি। বাঁকুড়ার এমপি সুভাষ সরকার এই শাখায় ট্রেন চালুর দাবিতে লিখিত চিঠি দিয়েছেন। তারপরই পূর্ব রেলের তরফে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
রেল সূত্রে খবর, যে সমস্ত শাখায় ট্রেন চালানো নিয়ে এই বৈঠক, সেগুলি হল, বর্ধমান-রামপুরহাট, বর্ধমান-আসানসোল, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ, অণ্ডাল-সাঁইথিয়া, নলহাটি-আজিমগঞ্জ প্রভৃতি।
এদিকে, কোভিড সংক্রমণ রোধে ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী চালু করেছে রেল মন্ত্রক। সেই বিধি মেনেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে রাজ্যে। জেলা স্তরে রেল যোগাযোগ চালু হলেও একই নিয়মাবলী মেনে চলা আবশ্যিক করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।