কোভিডের টিকা নিয়ে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠকে করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে সেকথা জানালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজেই। শুক্রবারের এই পর্যালোচনা বৈঠকে করোনার টিকার উৎপাদন ও বণ্টন নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগের কিছু সদস্য এবং সচিবস্তরের কয়েকজন আমলা। মোদি টুইটারে লেখেন, কীভাবে ভ্যাকসিনর বন্টন হবে, অগ্রাধিকার, টিকার ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং ভ্যাকসিন হাতে এলে তা কীভাবে বিতরণ করা হবে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কীভাবে তা পৌঁছে দেওয়া হবে, সেসব নিয়ে এদিন বিস্তারিত আলোচনা করেন মোদি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন সামনের বছর শুরুতেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন, এমনকী জুন-জুলাই মাসের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ কোটি ভারতবাসীকে করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে ভ্যাকসিন বিতরণের পদ্ধতি এবং প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়ার কতদূর অগ্রগতি হয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। যেসব বিজ্ঞানী, গবেষক এবং ওষুধের সংস্থাগুলি ভ্যাকসিন তৈরিতে নিজেদের নিয়োজিত করেছে, তাদেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গতকালই কেন্দ্র জানিয়েছিল এই মুহূর্তে অন্তত পাঁচটি সংস্থা ভারতে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে। এর মধ্যে একাধিক সংস্থার ট্রায়াল একেবারে চুড়ান্ত পর্যায়ে। ইতিমধ্যে কারা সবার আগে ভ্যাকসিন পাবে সেই তালিকা তৈরি করে ফেলেছে কেন্দ্র, তার মধ্যে চিকিৎসক,পড়ুয়ারা সহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এবং বৃদ্ধরা রয়েছেন।