শেষ দফায় নির্বাচন চলছে, কিন্তু এক্ষেত্রেও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে পশ্চিমবঙ্গে ভোট করাতে ব্যার্থ হলো নির্বাচন কমিশন। কোথাও বোমাবাজি, কোথাও মারধরের খবর লাগাতার সামনে আসছে। যাদবপুরের বারুইপুরে ভোটারদের প্রভাবিত করার এক অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে করা হয়েছে। অভিযোগ এই যে, শাসক দলের এক ব্যাক্তি বুথের ভেতরে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করছে। এমনকি প্রিসাইডিং অফিসারও নিশ্চুপ আছে, যার দরুন কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। জানিয়ে দি, প্রিসাইডিং অফিসার না বললে বুথের ভেতরে কারোর প্রবেশের অধিকার নেই।
অর্থাৎ প্রিসাইডিং অফিসারের মদতেই চলছে ভোটারের প্রভাবিত করার কাজ। কিছু ক্ষেত্রে শাসক দলের নেতা ভোটারদের ভোট নিজেই দিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। মিডিয়া শাসক দলের ব্যক্তিকে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন, আমি তৃণমূলের বুথ সভাপতি। বুথের ভেতরে ফোন নিয়ে প্রবেশ করে নিজের ইচ্ছামত ঘুরে বেড়াচ্ছিল আজিজুর রহমান নামক তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতি।
মিডিয়ায় খবর পরিবেশন করার পর বারুইপুরের ২৫১ নাম্বার বুথে প্রিসাইডিং অফিসারকে অপসারণ করা হয়। তবে প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে নিলেও আজিজুর রহমানকে কেন গ্রেফতার করা হলো না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আজিজুর রহমান গণতন্ত্রের হত্যা করার পরেও কেন ছাড় পেল তাই নিয়ে প্ৰশ্ন উঠেছে।