কর্ণাটকের #ডোড্ডাগাড্ডাভালি – তে অবস্থিত সুপ্রাচীন এবং ঐতিহাসিক মহালক্ষ্মী মন্দিরটি #হয়সলা স্থাপত্য শিল্পের এক অন্যতম নির্দশন। মন্দিরটি নিশ্ছিদ্রভাবে প্রহরারত এবং উচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত। এখানে ছবি তোলাও নিষিদ্ধ। এমন নিশ্ছিদ্র প্রহরারত মন্দিরের অভ্যন্তরে ঢুকে দেবী মূর্তি ধ্বংস করা হয়েছে। যারা করেছে নিশ্চয় তাদের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তারা অবশ্যই বেশ কিছুক্ষণ মন্দিরের গর্ভগৃহে ছিল । তারা কারা ? তাদের শাস্তি হবে ? এই যে অপরাধ তার বিরুদ্ধে আমরা কি কিছু করব ?
অহিংসা পরমো ধর্ম্ম ধর্ম্ম হিংসা তথৈব চ।
উক্ত শ্লোকে বলা হয়েছে অনর্থক হিংসা করা নিষ্প্রয়োজন কিন্তু ধর্ম রক্ষার্থে হিংসা করাটাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তাই ধর্মের প্রয়োজনে, জাতির প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে অহিংস ভাব রাখলে চলে না।
ধর্মশাস্ত্রে আততায়ী নামক ঘৃণ্য পশুদের বধের কথা বলা হয়েছে।
অগ্নিদো গরদশ্চৈব শস্ত্রপাণির্ধনাপহঃ ।
ক্ষেত্রদারাপহারী চ ষড়েতে হ্যাততায়িনঃ।।(বশিষ্ঠ স্মৃতি:৩/১৬)
১. যে ঘরে আগুন দেয়
২. খাবারে বিষ দেয়
৩. ধারালো অস্ত্র দ্বারা হত্যা করতে উদ্যত
৪.ধনসম্পদ অপহরণকারী
৫.ক্ষেতখামার অপহরণকারী
৬.ঘরের স্ত্রী অপহরণকারী – এই ছয় প্রকার দুষ্কৃতিকারীকে আততায়ী বলা হয়।
এই আততায়ীদের প্রতি কীরূপ আচরণ করতে হবে সে প্রসঙ্গে মনুসংহিতা বলছে-
গুরুং বা বালবৃদ্ধৌ বা ব্রাহ্মণং বা বহুশ্রুতম্।
আততায়িনমায়াস্তং হন্যাদেবাবিচারয়ন্।।(৮/৩৫০)
সেই আততায়ী যদি গুরু, বালক, বৃদ্ধ, অতিশয় বিদ্বান্ ব্যক্তিও হয় ,তবুও অগ্রসরমান্ সেই আততায়ীকে তখনই বধ করবে।
তাছাড়া যারা সনাতন ধর্ম পালন করতে দেয় না, তাদের প্রতি কীরূপ আচরণ করতে হবে তাও বলা আছে।
.
শস্ত্রং দ্বিজাতিভির্গ্রাহ্যং ধর্ম্মো যত্রোপরুধ্যতে।
দ্বিজাতীনাঞ্চ বর্ণানাং বিপ্লবে কালকারিতে।।(৮/৩৪৮)
আত্মনাশ্চ পরিত্রাণে দক্ষিণানাঞ্চ সঙ্গরে।
স্ত্রীবিপ্রাভ্যুপপত্তৌ চ ধর্ম্মেণ ঘ্নন্ ন দুষ্যতি।।(৮/৩৪৯)
যখন সাহসকারীরা সনাতন ধর্ম্ম করতে না দেয়, তখন ব্রাহ্মণাদি ও তিন বর্ণ দুষ্টদমনের জন্য অস্ত্রগ্রহণ করবে এবং আত্মরক্ষার্থে ও যজ্ঞীয় দক্ষিণাদি উপদ্রব নিবারণার্থে কিংবা যুদ্ধ উপস্থিত হলে দুর্বলেকে রক্ষার জন্য অস্ত্রগ্রহণ করবেন।
©দুর্গেশনন্দিনী
ছবি : রাজেন্দ্র দত্ত এবং প্রান্থা লিও