অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক মাসের। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরের শুরুতেই ভারতে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। আবারও দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের শুরুতেই ভারতে করোনার ভ্যাকসিন চলে আসবে।

দেশে এখনও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। উৎসবের মরশুমের মাঝেই একাধিক রাজ্যে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দিল্লিতে। রাজধানীতে অক্টোবরের শুরু থেকে দৈনিক ৬-৭ হাজার জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু।

পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। দিল্লির করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেজরিওয়াল সরকারকে সব ধরনের সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মাঝে তাঁর আরও দাবি, ‘‘নতুন বছরের শুরুতেই ভারতে করোনার ভ্যাকসিন চলে আসবে। আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই ২৫-৩০ কোটি দেশবাসীকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।’

করোনার ভ্যাকসিন

গোটা বিশ্ব করোনার গ্রাসে। করোনার ভ্যাকসিন তৈরির মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের তাবড় দেশ। সেই দৌড়ে পিছিয়ে নেই ভারত। বরং কেন্দ্রের দাবি, করোনার উপযুক্ত ভ্যাকসিন ভারতেই তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ভারত করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেকের চেয়েই এগিয়ে। ধাপে-ধাপে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে। আর কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন বেরিয়ে যাবে বলে আশাবাদী খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। প্রতিদিন নতুন করে হাজার-হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। বাড়ছে মৃত্যু। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৮। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৩৯। তবে সুস্থও হচ্ছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬০২ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.