গত সপ্তাহ থেকে লোকাল ট্রেন (Local Trains) চালু হলেও যাত্রীসংখ্যা সেভাবে বাড়ছিল না মেট্রোয়। অফিস টাইম ছাড়া বাকি সময় অনেকটাই ফাঁকা থাকছিল। ফলে মেট্রোর (Kolkata Metro) সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়েও লাভ হয়নি। মেট্রোর আধিকারিকরা মনে করেছিলেন, এর অন্যতম কারণ, বহু যাত্রীর ই- পাসের (E-Pass) মাধ্যমে সিট বুক না করতে পারা। তাই প্রাথমিকভাবে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ই-পাসে তুলে দেওয়া হয়। আর এবার মহিলা এবং ১৫ বছরের কম বয়সিদের ক্ষেত্রেও ই-পাসে সিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল।
নিউ নর্মালে অফিস টাইমের পর অর্থাৎ বেলা ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মহিলা এবং স্কুল পড়ুয়াদের ই পাস লাগবে না বলে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে। আগের মতো স্মার্টকার্ড নিয়েই মেট্রোয় ওঠা যাবে। তবে স্কুলপড়ুয়াদের বয়সের প্রমাণপত্র হিসাবে স্কুলের আই কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। নয়া পদ্ধতিতে সফর করা যাবে শুক্রবার থেকেই। তবে টোকেন সিস্টেম এখনই চালু হচ্ছে না। আপাতত স্মার্ট কার্ডেই যাত্রীদের যাতায়াত করতে হবে।
লোকাল চালুর এক সপ্তাহের মাথায় মেট্রোয় যাত্রীসংখ্যা এক লক্ষের গণ্ডি পেরয়। বুধবার মেট্রোর যাত্রীসংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫৮৯ জন। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল, ১৫২ টি মেট্রোয় যে সংখ্যক যাত্রী উঠতেন, মেট্রো বাড়িয়ে ১৯০টি করার পরও প্রায় একই সংখ্যক যাত্রী উঠছিলেন। কোনওদিন ৯৪ হাজার, তো কোনওদিন ৯৭ হাজার।
যদিও কর্তৃপক্ষের আশা ছিল, লোকাল ট্রেন চললে যাত্রীসংখ্যা দেড় থেকে দু’লক্ষতে পৌঁছবে। তা পূরণ না হওয়ায় মেট্রো কর্তাদের ধারণা, ই-পাস বুকিংয়ের বিষয়টি জেলা বা মফস্বলের মানুষজন সেভাবে এখনও বুঝে উঠতে পারেননি। তাই তাঁরা সিট বুক করতে না পারায় মেট্রোয় সফর করছেন না আগের মতো। পারছেন না। যাত্রীও বাড়ছে না মেট্রোয়। আর তা দেখেই মহিলা এবং শিশুদের এই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ই-পাস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি দেখেশুনে সারাদিনের জন্যই এই ই-পাস তুলে দেওয়া হতে পারে।