করোনা (Coronavirus) প্রতিরোধে আশার আলো। বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড়সড় সাফল্যের দাবি করল মার্কিন সংস্থা ফাইজার (Pfizer)। তাদের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর। বুধবার জানিয়ে দেয় ফাইজার (Pfizer)। ভ্যাকসিনটির তৃতীয় তথা শেষ দফা ট্রায়ালের চূড়ান্ত বিশ্লেষণের পর কোম্পানির দাবি, তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
বিশ্বজুড়ে এখনও দাপট দেখিয়ে চলেছে মারণ ভাইরাস। কিছু জায়গায় প্রকোপ সামান্য নিম্নমুখী হলেও করোনাতঙ্ক থেকে পুরোপুরি নিস্তার মেলেনি। আর সেই কারণেই ভ্যাকসিন আসার প্রহর গুনছে প্রত্যেকে। তারই মধ্যে ফাইজারের দাবি নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি জোগাচ্ছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মোট ১৭০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার তৃতীয় দফার পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ১৬২ জনকে কেবলমাত্র স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৮ জনের উপর প্রয়োগ হয় ভ্যাকসিন। তারপরই জানানো হয়, ৯৫ শতাংশ কার্যকর তাদের টিকা। ওই আটজনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয়নি।
তবে মার্কিন সংস্থার এমন দাবি ভারতীয়দের মুখে হাসি ফোটাতে পারছে না। ভ্যাকসিনটি এই দেশে ব্যবহারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ এটিকে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হয়। আর বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিনের ডোজ এভাবে সংরক্ষিত রাখা কার্যত অসম্ভব। আপাতত আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ফাইজার।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ফাইজারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তাদের টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকরী। এবার আরও একধাপ এগিয়ে তাদের দাবি, ৯৫ শতাংশই কাজ করছে টিকা। অন্য একটি মার্কিন সংস্থা মোডার্নাও (Moderna) তৈরি করছে করোনা প্রতিষেধক। মোডার্না জানায়, তাদের কোভিড প্রতিষেধক ‘mRNA-1273’ ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর সাব্যস্ত হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের উপর চালানো পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলে। প্রতিষেধকের শেষের দিকের ট্রায়াল তথা ‘লেট স্টেজ’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মেলা তথ্যের প্রাথমিক বিশ্লেষণে এই ফলাফলই মিলেছে বলে দাবি করে সংস্থাটি।