যে সমস্ত দেশ আন্তর্জাতিক মঞ্চে কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকে, সেই সকল দেশ আর্থিক ও সামরিক দুই দিক থেকেই ফায়দা তোলে। উদাহরণ হিসেবে ভারত বিগত ৬ বছর ধরে আর্থিকভাবে ব্যাবসায় এবং সামরিক দিক থেকে সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভালো লাভ তুলেছে। ২০১৪ সালের আগে ভারতের বিদেশনীতি একেবারে ঝিমিয়ে পড়েছিল। তবে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকার আসার পর থেকে পাকিস্তানকে আর্থিকভাবে দুর্বল করার যে পদক্ষেপ ভারত গ্রহণ করেছিল তা এখন সফল হয়েছে। মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল সন্ত্রা’সীর ট্যাগ দেওয়া হোক, চীনের বিরুদ্ধে বিশ্বকে একজোট করা হোক, মালাবারে অস্ট্রেলিয়ার এন্ট্রি করানো হোক ইত্যাদি নানা বড়ো বড়ো কাজ ভারত করেছে যেখানে রাশিয়া, ফ্রান্স, আমেরিকা বার বার পাশে দাঁড়িয়েছে।
রাশিয়া অনেক আগে থেকে ভারতের ঘনিষ্ঠ। এটাও সত্য যে আমেরিকাও এখন রাশিয়ার মতো ঘনিষ্ঠ দেশে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে চীনের সাম্রাজ্যবাদী নীতি আমেরিকা ও ভারতের বন্ধুত বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ এশিয়া মহাদেশে চীনকে কাউন্টার করার জন্য একমাত্র ভারত রয়েছে।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর জো বিডেন বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। যারপর মোদী সরকার আবারও চীনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি ফোন করে জো বিডেন এবং কমলা হ্যারিসের সাথে কথা বলেন। নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বিষয়টি জানিয়েছে। টুইটে নরেন্দ্র মোদী যা ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট যে ভারত সরকার চীনের বিরুদ্ধে মোর্চা খোলার জন্য জো বিডেনের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে লেগে পড়েছে। অনেকে আশঙ্কা করেছিল যে জা বিডেন ভারতীয় লিবারেলদের খুশি করে চীনের সমর্থনে পদক্ষেপ নেবে। যদিও ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটছে।
জো বিডেনের পার্টি তাদের পলিসি পেপারে বলেছে যে তারা ভারতের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে সমস্তরকম চেষ্টা করবে। পলিসি পেপারে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছিল যে জো বিডেন ক্ষমতায় এলে তারা ভারতকে UNSC এর স্থায়ী মেম্বার করার জন্য শক্তি ঝুঁকে দেবে। জাতিসংঘে ভারতকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার দাবি ফ্রান্স বহুদিন ধরে তুলছে, যদিও চীন বার বার এই দাবির বিরোধিতা করে।
এছাড়াও জো বিডিনের এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে উনি তুর্কীকে শায়েস্তা করার কথা বলেছেন। জো বিডেন বলেছেন যে মূল সমস্যা হল তুর্কী, এই সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি ডিসিশন রুমে ঘণ্টার পর ঘন্টা কাটাতে পারবেন।