বাজার বাড়াতে রেলের মাধ্যমে দুধ পরিবহণের ভাবনা এরাজ্যেও

রাজ্যে দুগ্ধ সমবায়গুলির বেহাল দশা। চাহিদা থাকলেও সময়মত তা সরবরাহ করা যাচ্ছে ফলে প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে দুধ নষ্ট হতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে ভাবা হচ্ছে বাংলার দূরবর্তী জেলার দুধচাষিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে রেলের মাধ্যমে তা অন্যত্র সরবরাহ করার। তেমন প্রস্তাব এলে রেল এ ব্যাপারটা ভেবে দেখবে বলে একটি জনপ্রিয় বাংলা দৈনিকে এমন প্রতিবেদন বের হয়েছে।

ইতিমধ্যে দক্ষিণ মধ্য রেল অন্ধ্র থেকে দিল্লি কেবলমাত্র দুধ পরিবহণের জন্য বিশেষ ট্রেন চালু করেছে । যা ‘দুধ দুরন্ত স্পেশাল ট্রেন’ বলে পরিচিত। এবার বাংলার দুধ উৎপাদকরা আগ্রহী হলে তখন হাওড়া এবং শিয়ালদহতেও এমন ট্রেন চালু হতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনটি জানিয়েছে।

কলকাতা বা তার আশপাশের কিছু জেলার উৎপাদকরা দুধের সঠিক মূল্য পেলেও দূরের জেলার বেশিরভাগ দুধচাষি উপযুক্ত দাম পান না। আবার দেখা যায় ‌নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট সংস্থায় দুধ সরবরাহ করা হয় না। দুধ সময়মতো সরবরাহ না করতে পারায় প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ নষ্ট হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় যদি দুগ্ধ পরিবহণের জন্য ট্রেনকে ব্যবহার করা যায় তাহলে এই শিল্পে সুদিন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত ,লকডাউন পর্বে দুধের সরবরাহ ঠিক রাখতে বিশেষ ট্রেনের পরিকল্পনা করে রেল। তখন দুধ উৎপাদকদের প্রস্তাব অনুসারে ‘দুধ দুরন্ত স্পেশাল ট্রেন’ চালানো শুরু করে দক্ষিণ-মধ্য রেল। এর ফলে দক্ষিণে অবস্থিত রানিগুন্টা স্টেশন থেকে দুধ নিয়ে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে যায় এই ট্রেন। এই ট্রেনের গতিবেগ ১১০ কিমি এবং ৩৬ ঘণ্টায় এই দূরত্ব অতিক্রম করে থাকে।

আগে সাধারণত যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হতো দুধের ট্যাঙ্কার। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় গোটা একটি ট্রেন মারফত দুধ নিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছে। শুরুর দিকে ছ’টি দুধের ট্যাঙ্কার নিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল কিন্তু পরে ট্যাংকারের সংখ্যা বাড়িয়ে আট করা হয়েছে। প্রতিটি ট্যাঙ্কারে ৪০ হাজার লিটার দুধ ধরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.