“সীমান্তে কেউ আমাদের শক্তি পরীক্ষা করলে, যথাযথ উত্তর পাবে।” শনিবার জয়লসমেড়ের লঙ্গেওয়ালায় সেনা ছাউনিতে এভাবেই পাকিস্তান ও চিনকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবারই সীমান্তে পাক সেনার হামলায় প্রাণ যায় ১১ ভারতীয়ের। তার মধ্যে জওয়ান রয়েছেন, রয়েছেন সাধারণ মানুষও। ঘটনার পরদিনই জওয়ানদের মাঝে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ছেড়ে কথা বলবে না ভারতও।মোদি বলেন, ‘‘সীমান্তে কেউ আমাদের শক্তি পরীক্ষা করলে, যথাযথ উত্তর পাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একাধিক দেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও লঙ্গেওয়ালার নাম সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে। লঙ্গেওয়ালার লড়াইয়ের ইতিহাস প্রত্যেক ভারতীয়ের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। সবাই জানে, ‘জো বলে সো নিহাল, সৎ শ্রী আকাল’ ধ্বনির কথা।’’
তিনি বলেন, “আজকের ভারতের নীতি খুব পরিষ্কার। নতুন এই ভারত প্রত্যেকে বুঝতে চায় এবং নিজেদের সম্পর্কেও অন্যদের জানাতে চায়। এর ফলে গোটা বিশ্ব বুঝতে পেরেছে যে নিজের স্বার্থের বিষয়ে এই দেশ কোনও মূল্যেই সমঝোতা করবে না। আজকে ভারত জঙ্গিদের নিকেশ করছে আর তাদের নেতারা ঘরে ঢুকে পড়ছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আপনাদের শক্তি ও দক্ষতার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। আপনাদের দেশকে সুরক্ষিত রেখেছেন বলেই আন্তর্জাতিক মহল আজ আমাদের সম্পর্কে এই ধারণা পোষণ করে। এর জন্য ভারতও তার প্রতিরক্ষা শক্তি ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে। আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। দেশবাসীও স্থানীয়ভাবে প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির বিষয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছে।”
নরেন্দ্র মোদি বলেন, “১৩০ কোটি ভারতীয় আপনাদের সঙ্গে রয়েছেন। প্রতিটি নাগরিক আমাদের জওয়ানদের শক্তি ও আত্মত্যাগের জন্য গর্বিত। তাঁরা গর্ব অনুভব করে আপনাদের অদ্যম মনোভাবের জন্য। আমাদের দেশের সীমান্ত রক্ষার কাজে নিয়োজিত বীর সৈনিকদের নিজেদের কর্তব্য করা থেকে পৃথিবীর কোনও শক্তিই আটকাতে পারবে না বলেও সাধারণ নাগরিকরা বিশ্বাস করেন।” তিনি আরও বলেন, “হিমালয়ের শীর্ষ থেকে মরুভূমির তপ্ত পরিবেশ কিংবা ঘন জঙ্গল থেকে গভীর সমুদ্র, সর্বক্ষেত্রেই আপনারা হার না মানা মনোভাব নিয়ে প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেন। তাই গোটা ভারত আপনাদের জন্য গর্ব অনুভব করে। আপনারা আছেন বলেই আমরা প্রতি বছর ধুমধাম করে দিওয়ালি উদযাপন করতে পারি। তাই আজ প্রত্যেক দেশবাসীর তরফে আপনাদের দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাই। আমারও দিওয়ালি আপনাদের সঙ্গে উপযাপন না করলে ভাল লাগে না। আপনাদের আনন্দিত মুখ আমার খুশিও দ্বিগুণ হয়ে যায়।”