আমরা আগেই বলেছি, বিহারে মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ কুমারই, জানাল বিজেপি

বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে নীতীশ কুমারকে সরানোর প্রশ্ন নেই। বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল বিজেপি। মঙ্গলবার বিহারে ভোট গণনা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই বোঝা যায়, বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়ছে নীতীশের দল জেডি ইউ। তখনই প্রশ্ন ওঠে, বিজেপি কি মুখ্যমন্ত্রীর পদে নীতীশের বদলে অন্য কাউকে চাইবে? কিন্তু এদিন সব সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল কুমার জানিয়ে দিলেন, “আমরা আগেই বলেছি, নীতীশজি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সেই অবস্থান থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই।”

বিহারের ২৪৩ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৭৪ টিতে। নীতীশের দল পেয়েছে ৪৩ টি আসন। বিহারে এনডিএ-তে এখন বড় শরিক হয়েছে বিজেপি। সাধারণত শাসক জোটের বড় শরিক দল থেকেই কেউ মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু বিহারে সেই ট্র্যাডিশন ভাঙতে চলেছে। সুশীল মোদী এদিন বলেন, “ভোটে কেউ জেতে কেউ হারে। কিন্তু আমরা সমানভাবে ক্ষমতা ভাগ করে নেব।” পর্যবেক্ষকদের মতে, নীতীশের দলের সাহায্য ছাড়া বিহারে এতগুলি আসন পাওয়া বিজেপির পক্ষে সম্ভব হত না। ভোটের ফলাফলে বিজেপির সুবিধা হয়েছে। নীতীশ কুমার চতুর্থ দফায় সরকার গড়তে চলেছেন ঠিকই কিন্তু ক্ষমতার সমীকরণ এবার আগের মতো হবে না।

বিহারে ক্ষমতার সমীকরণে বড় ধরনের বদল আসতে চলেছে এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ানের জন্য। তিনি জেডি ইউ-এর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিলেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর দলের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। চিরাগের লোক জনশক্তি পার্টি পেয়েছে মাত্র একটি আসন। কিন্তু বেশ কয়েকটি আসনে তারা নীতীশের দলের ভোট কেটেছে। ২০১৫ সালের চেয়ে কম ভোট পেয়েছে জেডি ইউ। পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, চিরাগের বিদ্রোহে প্রচ্ছন্ন মদত ছিল বিজেপির। নীতীশের দলের ভোট কমানোর জন্য তাঁকে ব্যবহার করেছেন অমিত শাহরা।

বুধবার চিরাগ নিজে বলেছেন, “সব পার্টির মতো আমার পার্টিও চায় যত বেশি সম্ভব আসন জিততে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ছিল যাতে বিজেপি রাজ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।” এর আগেও এলজেপি বলেছে, তাদের মূল লক্ষ্য হল নীতীশ কুমারকে হারানো।

বিজেপি অবশ্য চিরাগের সঙ্গে গোপন সমঝোতার কথা উড়িয়ে দিয়েছে। সুশীল মোদী স্বীকার করেছেন, এলজেপি অন্তত ২০ টি আসনে জেডি ইউ-এর প্রার্থীদের ভোট কেটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.