বৃহস্পতিবার দু’দিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (home minister Amit Shah)। বাংলায় একাধিক কর্মসূচি নিয়ে এসেছিলেন তিনি। প্রথম দিনের সফরে বাঁকুড়ার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন তিনি। আর এরপর থেকেই বাংলার শাসক দলের নিশানায় পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে রচনা এক জটিল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের পরিভাষায় ওই রোগটির নাম ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস। ছোট থেকেই সে এই রোগে আক্রান্ত এবং আজীবন তার চিকিৎসা চালাতে হবে। আর তা শোনার পরেই অমিত শাহ এর নির্দেশে রচনার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল বিজেপি। গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। দরকারে দিল্লির এইমসে রচনার চিকিৎসা হবে বলে জানিয়েছেন সুভাষবাবু।
বিজেপির এই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল বিভীষণবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন। সুভাষবাবু রচনাকে লেখাপড়ার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আরও বেশি করে পড়তে হবে। আরও ভাল করে পড়তে হবে। রুটিন মেনে পড়াশোনা করতে হবে।’ পরিবারকে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, চিন্তার কিছু নেই। মেয়ের চিকিৎসার জন্য তাঁদের সবরকম ভাবে সাহায্য করা হবে। রচনা সারাদিনে কতক্ষণ পড়াশোনা করে তারও খোঁজ নেন সুভাষবাবু। স্কুল ছাড়াও বাড়িতে এসে আরও ভাল করে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সুভাষবাবু রচনাকে বলেন, ‘নার্সিং পড়তে হবে। এখন তো স্কুল নেই। তাই নিয়ম মেনে পড়তে হবে।’ তিনি জানান, নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। এদিন তাঁর রক্ত পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সুভাষবাবু নিজে একজন চিকিৎসক। মেয়ের শারীরিক অবস্থার কথা তাঁকে ব্যাখ্যা করেন বাবা বিভীষণ। কবে থেকে মেয়ের চিকিৎসা চলছে, শেষ কবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন, তা জানান তিনি। বিভীষণবাবু জানান, লকডাউনের আগে তিনি মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরে আর যেতে পারেননি। বেশ কয়েক মাস হয়ে গেলেও চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে যেতে পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুভাষবাবু। চলতি বছরের মার্চ মাস নাগাদ রচনাকে শেষ বার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় আর নিয়ে যাওয়া যায়নি।