গত বৃহস্পতিবার আয়কর দপ্তর ধর্মপ্রচারক কেপি.য়োহান্নানের অফিস এবং বাসভবনে হানা দিয়েছিল। কেরলের কোট্টাম এবং পাঠানামথিত্তা’র বেশ কিছু জায়গায় কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আয়কর দপ্তর হানা দেয়। য়োহান্নান গোসপেল ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য মেট্রোপলিটন বিশপ অফ বিলিভারস্ চার্চের প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিরেক্টর। এই চার্চেটি সক্রিয়ভাবে ধর্মান্তরিত করার কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সরকারি আধিকারিকরা ১৩.৫ কোটি টাকাসহ বেশ কিছু মোবাইল ফোন এবং ২কোটি মূল্যের মুদ্রাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিশ্বস্তসূত্রের আয়কর দপ্তর ঐদিন চড়াও হয় এবং চার্চের বিরুদ্ধে “ফরেন কন্ট্রিবিউশনস্ রেগুলেশন অ্যাক্ট“(এফসিআরএ) এবং “ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজম্যান্ট অ্যাক্ট“(এফইএমএ) অনুযায়ী কর ফাঁকি দেওয়া ও নিয়মভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে।
তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, চার্চের সাথে যুক্ত থাকা মানুষেরা শুধু কেরালা না অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের বাড়ি এবং অফিসে হানা চালিয়ে যেতে হয়েছে বারবার। চার্চের মাধ্যমে পরিচালিত থারুভাল্লাতে থাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের খোঁজ এখনও আয়কর দপ্তর চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অভিযুক্ত চার্চ সহ আরো তিনটি এনজিও’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আইটি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, শেষ পাঁচ বছর ধরে, এফসিআরএ নীতি লঙ্ঘন করে অভিযুক্ত চার্চ ৬০০০ কোটির বৈদেশিক সাহায্য গ্ৰহন করেছে।
এই বিলিভারস্ চার্চ কেরালাতে একটি মেডিকেল কলেজসহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালায়। শবরীমালার কাছে, পাথানামথিত্তা জেলায় এদের তালুক রয়েছে। এলডিএফ সরকার বর্তমানে চার্চের এই ভূসম্পত্তিকে শবরীমালা বিমানবন্দরের বিতর্কিত জমির উপর অবস্থিত বলে চিহ্নিত করেছেন।