দুরন্ত ফর্মে থাকা ওয়ার্নারের হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad), নাকি শ্রেয়স–ধাওয়ানের দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)! একটি দল পরপর ম্যাচ জিতেছে। অন্যদলটি, খাতায়–কলমে টুর্নামেন্টের সেরা দল। IPL-এর কোয়ালিফায়ার টু’র এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অবশ্য একাই পার্থক্য গড়ে দিলেন মার্কাস স্টইনিস। ব্যাট হাতে ঝোড়ো ৩৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিলেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এছাড়া রাবাডা নিলেন চার উইকেট। আর হায়দরাবাদকে ১৭ রানে হারিয়ে আইপিএল’১৩–র ফাইনালে পৌঁছে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। শুরুটাও দুর্দান্ত করেন দুই ওপেনার ধাওয়ান এবং স্টইনিস। দু’জনেই মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। ওভার প্রতি দশ রানের গড়ে রান তোলেন। ৮.২ ওভারে স্টোইনিস যখন ৩৮ রান করে যখন আউট হন তখন দিল্লির রান ৮৬। তবে ভাল শুরু করেও আউট হয়ে যান শ্রেয়স (২১)।
এরপর সিমরন হেটমেয়ারকে নিয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ৫০ বলে ৭৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে ধাওয়ান আউট হলেও ২২ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে হেটমেয়ার। ২০ ওভার শেষে দিল্লির রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৮৯। হায়দরাবাদ বোলারদের মধ্যে রশিদ, হোল্ডার এবং সন্দীপ শর্মা একটি করে উইকেট নেন।
১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ওয়ার্নারের (২) গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। ১৭ রান করে ফিরে যান প্রিয়ম গর্গও। ওই ওভারেই মনীশ পাণ্ডেকেও (১৭) আউট করেন স্টোইনিস। এরপর উইলিয়ামসন পরিত্রাতা হিসেবে দেখা দেন। হোল্ডার দ্রুত আউট হলেও কাশ্মীরের তরুণ প্রতিভা আবদুল সামাদকে পালটা লড়াই চালিয়ে যান কিউয়ি ব্যাটসম্যান।২৭ বলে ৫০ রানও যোগ করে ফেলেন। কিন্তু এই জুটিও ভাঙেন সেই স্টইনিস।
৪৫ বলে ৬৭ রান করে উইলিয়ামসন ফিরতেই হায়দরাবাদের যাবতীয় আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। ১৯ তম ওভারে আবার পরপর দু’বলে আবদুল সামাদ (৩৩) এবং রশিদ খানকে (১১) আউট করে ম্যাচ পুরোপুরি দিল্লির পকেটে এনে দেন রাবাডা। হ্যাটট্রিকের বলটি ওয়াইড করলেও পরবর্তী বলে আবার আউট করে দেন শ্রীবৎস গোস্বামীকে (০)। ফলে ম্যাচ সেখানেই শেষ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে রাবাডা নেন চারটি উইকেট এবং স্টইনিস নেন তিনটি উইকেট।
ফাইনালে চারবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন শ্রেয়সরা।