এবার কালীপুজোয় ভিড় এড়াতে লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রন করা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হল। দুর্গাপুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য হাইকোর্টে যিনি আবেদন করেছিলেন, সেই অজয়কুমার দে-ই এই মামলাটি করেছেন। জানা গিয়েছে, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো ও কার্তিকপুজো নিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন সেটা পালন করতেই বুধবার থেকে চালু হওয়া লোকাল ট্রেনে নিয়ন্ত্রন করা হোক। এই মর্মেই মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতা শহরতলির যে সমস্ত স্থান কালীপুজোর জন্য বিখ্যাত, সেই সমস্ত স্থান বা স্টেশনে লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রিত হোক। অর্থাৎ ওই স্টেশনের আগে-পিছে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত লোকাল ট্রেন দাঁড় না করানোর আবেদন জানানো হয়েছে এই মামলায়।
মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘যদি সত্যিই আসন্ন উৎসবের দিনগুলোয় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সে ক্ষেত্রে অন্তত পুজোর দিনগুলোয় শহরতলির নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা বন্ধের নির্দেশ দিতে হবে আদালতকে। আমরা ইতিমধ্যেই মামলায় সব পক্ষকে নথি দিয়েছি’। সূত্রের খবর, আগামী ১০ নভেম্বর হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো ও কার্তিকপুজোতেও এবার করোনা সংক্রমণ এড়াতে মণ্ডপে ‘নো-এন্ট্রি’ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কিন্তু কালীপুজো মূলত মফস্বল ও শহরতলি এলাকায় জনপ্রিয়। সেখানে করোনাবিধি কতটা মেনে চলবেন সাধারণ মানুষ সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। মামলাকারীদের বক্তব্য, যদি লোকাল ট্রেন ওই সমস্ত স্টেশনগুলোতে দাঁড়ায়, সে ক্ষেত্রে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। তাই, সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলো তো বটেই, সেগুলোর অন্তত ১০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্য কোনও স্টেশনেও যাতে কালীপুজোর দিনগুলোয় লোকাল ট্রেন যেন না-দাঁড়ায়, সেই নির্দেশ দেওয়া হোক। কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত নির্দেশ কার্যকর করার আবেদন জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনে আংশিক পর্যায়ের লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়ে চলেছে।