অবশেষে ঐক্যমত্য। অষ্টম দফার সামরিক বৈঠক শেষে লাদাখ সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সম্মত হল ভারত ও চিন। দুই দেশই জানিয়েছে সীমান্তে আর কোনও রকম সংঘর্ষে জড়াবে না দুই দেশের সেনা।
এই বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারত ও চিনের সেনা পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব মেটানো হবে। সীমান্তের অচলাবস্থা কাটাতে সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে সম্মত হয়েছে নয়াদিল্লি ও বেজিং।
অষ্টম দফার বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে দুই দেশের সেনা জানিয়েছে বৈঠক ফলপ্রসূ। সীমান্তে যাতে আর কোনও রকম অশান্তি বা সংঘর্ষ না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখা হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
এই বৈঠকের পরেও আর একটি সামরিক স্তরের বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে। অষ্টম দফার বৈঠকে ভারতের তরফে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন। উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নবীন শ্রীবাস্তব।
এদিকে, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের ধারে দুই দেশের সেনা অবস্থান নিয়েই সমস্যা। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। চিনের সেনা সংখ্যাও প্রায় একই। শেষ ভারত চিন বৈঠক হয় ১২ই অক্টোবর
এরপরেই ভারতে আসেন মার্কিন প্রতিরক্ষা ও বিদেশ সচিব। তবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে যে ভারত চিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে না, তা জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। এদিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে চিনের সঙ্গে আলোচনা চলবে। কোনও তৃতীয় ব্যক্তি সেখানে হস্তক্ষেপ করবে না। সীমান্ত সমস্যা মেটানোর জন্য ভারত আলোচনা ও বৈঠকে বিশ্বাসী।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সীমান্ত জুড়ে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বেজিং। শুধু নির্মাণ কাজই নয়, চিনা সেনার অবস্থানের বদলও ঘটাতে চাইছে চিন বলে জানা গিয়েছে। তিব্বতে অধিকৃত আকসাই চিন সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে বেজিং।
আকসাই চিনের পাশাপাশি, ঝিংজিয়াং সীমান্তেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা। লাদাখের ১৫৯৭ কিমি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে যে এই শীতে সরছে না চিন, তা বোঝাই যাচ্ছে। ভারতীয় সেনা জানতে পেরেছে আকসাই চিনে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে চিন। পরবর্তীতে এই বিষয়গুলিও বৈঠকে উঠে আসবে বলে সূত্রের খবর।