দত্তপন্থ বাপুরাও ঠেংরী! এক অনন্য ব্যক্তি যিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান। একজন ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা, দার্শনিক যার অনুমান ক্ষমতা , দূরদর্শিতা এবং চিন্তন তথা পরিকল্পনা রূপায়ণের ক্ষমতা ভারতবর্ষে এমন একটি প্রজন্মের সৃষ্টি করেছে, যারা অধোগতিকে ঊর্ধ্বগতিতে রূপান্তর করতে শুধুমাত্র প্রয়াসী হননি, পরিবর্তন করছেন এবং করে চলেছেন। এই প্রজন্মের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা রাষ্ট্রঋষির রোপিত বৃক্ষরাশির ফল- এ বিষয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। বৃক্ষ নেহাতই উপমা, কিন্তু ফল সমূহ ঘোর বাস্তব, যারা “ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে .. ” এরই বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। এবং ঠেংড়ীজী এই বিস্তার সংগঠনের সর্বাধিনায়ক না হয়েই।
দেশের জন্য কাজ করতে গেলে পদের প্রয়োজন হয়, এই অবস্থানকে ঠেংড়ীজী ভ্রান্ত প্রমাণ করেছেন নিশ্চেষ্ট এবং সচেতনহীন ভাবে, কারণ তার সংস্কারিত চিত্ত ও সমর্পিত চরিত্রতে রাষ্ট্রভক্তির আবেদন এতই সুগভীর ছিল যে পার্থিব এবং বিষয়মুখী ধ্যানধারণা দিয়ে তাকে সীমাবদ্ধ করা যায়নি।
কিরকম বৃক্ষরাশি ?
ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ,
ভারতীয় কিষান সঙ্ঘ,
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ,
স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ …….
বলা বাহুল্য তালিকাটি অসম্পূর্ণ। এবং সম্পূর্ণ করার প্রয়াস এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। বর্তমান সঙ্ঘ পরিবার এবং আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রের প্রায় প্রতি কর্ণধারই ওনার দ্বারা প্রভাবিত। এটি কোনোভাবেই ব্যক্তি প্রভাব নয়। অবশ্যই সাংগঠনিক প্রভাব। কিন্তু সংগঠনের গতিমুখ স্থির করেন মার্গ দর্শকরাই।
বিচারবিশ্ব শব্দবন্ধটি খুবই যথার্থ যদি বিষয়টি হয় ঠেংড়ীজীর বিচারের ব্যাপ্তি; ব্যপ্তি বা বিস্তার, কার্যকর্তা নির্মাণ থেকে থার্ড ওয়ে অবধি। প্রথমটিতে ঠেংড়ীজীর দিক-নির্দেশ এই কারণেই অনন্য যে সেটি “সংস্কারিত চিত্ত, সমর্পিত চরিত্র, আত্মশুদ্ধি, চিত্তশুদ্ধি, সমাজ গঠন, চরিত্র গঠন ” গুরুজীর এই মার্গ দর্শনের আধারে। সেই আদর্শের চরিত্রে আত্তীকরণ কিভাবে সম্ভব তার পুঙ্খানুপুঙ্খ শিক্ষা। এটিই ঠেংরিজীর রচিত “কার্যকর্তা”।
অন্যদিকে “থার্ড ওয়ে”। বিনায়ক দামোদর বীর সাভারকারের স্বপ্ন, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ধৰ্ম – অর্থ – কাম – মোক্ষ চতুরঙ্গ বিশিষ্ট সম্পূর্ণ ভারতীয় মননের গভীরে প্রোথিত মূল্যবোধ আধারিত একাত্ম মানব দর্শনের ভিত্তি, সর্বজন শ্রদ্ধেয় একনাথ রানাডের কন্যাকুমারী বিবেকানন্দ শিলা স্মারক প্রতিষ্ঠায় নদী, সমুদ্রতট, গিরিতট, সমতটের আসমুদ্র-হিমাচল ভারতবাসীর সংযুক্তিকরণের বাস্তব প্রয়াস – এই ত্রিবিধ আধারের বহিঃপ্রকাশ।
ধনতন্ত্র – সমাজতন্ত্র নয়, পুঁজিবাদ – সাম্যবাদ নয়, কনফ্লিক্ট বা দ্বন্দ্ব নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, একাত্ম অর্থে আত্মিক যোগ। এটিই ঠেংরিজীর তৃতীয় পথ। বইটির নাম “থার্ড ওয়ে” হলেও, সনাতন ভারতীয় মূল্যবোধ আধারিত এর বিষয়বস্তু বাস্তবিকই প্রথম পথ যেটি মানবিক অস্তিত্বের বাহক, শত্রুখতম – শ্রেণীসংগ্রামের পাশবিক মননের পথ নয়।
যে অধ্যাত্মিকতা হিন্দু ভারতকে বাকি সমস্ত দেশ ও জাতির তুলনায় পৃথক ও অনন্য করেছে, আত্মত্যাগ নির্ভর সাম্য, উচ্চমার্গের প্রতি শ্রদ্ধা এবং উভয়দিক থেকেই শ্রেণীর দৃষ্টিতে না দেখা, “থার্ড ওয়ে” যেন একাত্ম মানব দর্শন আত্মারই আবয়ব।
“কৃন্যন্তু বিশ্বমার্যম” – “বসুধৈব কুটুম্বকমের” সীমানাবিহীন বিশ্বজনীন আদর্শে বিশ্বের তেত্রিশটি দেশে ভ্ৰমণ, ভারতীয়ত্বের বীজরোপন, সনাতন ভারতীয় ঐতিহ্য ও পরম্পরার প্রচার ও সর্বোপরি প্রচলিত ধ্যান ধারণার বাইরে গিয়ে শিকড় প্রোথিত করা – স্বামীজীর অনুরণন নয় কী ?
যার ফলশ্রুতি আমেরিকার হিন্দু স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৯২ টির মধ্যে ১৮৬ টি দেশের ভারতের পক্ষে থাকা। নেহাৎই বিক্ষিপ্ত উদাহরণ, কিন্তু বিচ্ছিন্ন নয়, গভীর অর্থবহ।
প্রসঙ্গতঃ প্রথমটি, আমেরিকার হিন্দু স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, যেটি করোনা আবহে সেবার জন্য মার্কিন জনগণ এমনকি সরকার দ্বারাও বহু প্রশংসিত। রাষ্ট্রশক্তির দেশে রাষ্ট্রভক্তির এই অনুপ্রবেশ চরম বস্তুবাদীদের মনে সংশয়ের জন্ম দিতে সমর্থ – স্বার্থহীন ভাবে এই আত্মত্যাগের শিকড় কি? ভারতীয় অধ্যাত্মিকতার মনন।
দ্বিতীয় ঘটনাটির গুরুত্ব এতটাই ছিল যে আমাদের অংশ থেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়া দেশ ক্রন্দনরত ভাবে তাদের সংসদে দুঃখ প্রকাশ করলো এই বলে “অত্যন্ত চিন্তার বিষয় যে আমাদের অতি নিকট দেশ ও আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি, অন্তত এক্ষেত্রে”।
অনেকেই বলবেন যে এগুলি সফল বিদেশনীতির সুফল। ঠিকই , কিন্তু এই সামগ্রিক বহির্বিশ্বে পরিবর্তনও কি একটি দীর্ঘকালীন প্রচেষ্টার ফল নয়? ঠিক দেশের অভ্যন্তরে সঙ্ঘের প্রায় শত বছরের প্রচেষ্টার মত।
এটিকি কেবলই তাৎক্ষণিক? বিশেষতঃ দেশের বাইরের ভারতীয়দের বৃহত্তর অংশই সুহৃদ, যেখানে দেশের অভ্যন্তরে এখনো একটি অংশকে প্রকৃত সত্য বুঝিয়ে চলতে হচ্ছে – বিকৃত ও বিস্মৃত ইতিহাসের ক্ষতিপূরণ রূপে। আশার কথা হল মননের পরিবর্তন হচ্ছে কারণ সত্যের ধর্মই হচ্ছে প্রকাশিত হয়ে পরা।
একজন চিন্তন-মনন-বিচারে কাল যুগ থেকে কতটা অগ্রবর্তী থাকতে পারেন সেটি ঠেংরিজীর “কম্পিউটারাইজেশন” বইটি থেকে বোঝা যায়। “অটোমেশন – অ্যান্টি নেশন” এর মতো দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন স্লোগান ভারতীয় কিষান সঙ্ঘ
বা ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ দেয়নি। কারণ, দিক-নির্দেশ ছিল মানবকল্যাণকর ব্যবস্থায় কম্পিউটার এর প্রয়োগ। প্রতিযোগিতা মূলক নয় ( competitve), অনুবন্ধী প্রয়োগ (complementary)। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে প্রায় চল্লিশ বছর আগে করা এক বিচার দেখে বিস্মিত হতে হয়। কি পরিমাণ দূরদর্শিতা থাকলে পরিণাম অনুমেয় হয়!
সম্ভবত উপরের মনস্তত্বটিও সনাতন বৈশিষ্ট যার অর্থ চির-পুরাতন নিত্য-নূতন নতুনকে গ্রহণ করা চিরন্তন সনাতন সংস্কৃতি তা আমরা যতই অন্তর্মুখী প্রচেষ্টা করি না কেন? তবে সংস্কৃতির সংরক্ষণ অবশ্যই প্রয়োজন। প্রয়োজন চির-পুরাতন এর সঙ্গে নিত্য-নূতনের মেলবন্ধনের।
অথবা , “ফোকাস অন সোসিও ইকোনমিক প্রবলেম”। আর্থ – সামাজিক সমস্যার অনুসন্ধান। ঠেংড়ীজীর লেখা। আগের শতকের ভাবনা অথচ বাস্তবায়িত হচ্ছে এখন।
স্বাধীনোত্তর সত্তর। তবুও কৃষকের আত্মহত্যা। নগর কেন্দ্রিক প্রযুক্তি নির্ভর উচ্চ জীবন যাত্রাপ্রণালীর পশ্চাতে অন্তঃসার শূণ্য কঠোর বাস্তব কিন্তু ক্রন্দনই সার। বস্তুবাদী আবেগহীন জীবনযাত্রায় অন্যদের জন্য ভাবার সময় কোথায়? কিছু করা তো কল্পনাতীত। সঙ্গে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা। এতদিন কিছুই করা হয়না বলে ক্রন্দন। এখন যখন কৃষ্ণক বন্ধুর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তখন চিৎকার। অদ্ভুত স্ববিরোধিতা, সঙ্গে অপপ্রচার |
দত্তপন্থ ঠেংড়ীজীর ওই বইটি পড়লে ভারতের স্বদেশী অর্থনীতির স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়। আমাদের কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে কৃষকদের যে সার্বভৌমত্ব দরকার সেটি উনি অর্ধশত বছর পূর্বে অনুভব করেছিলেন, সঙ্গে কৃষকদের নূন্যতম শিক্ষার বিকাশ। কিন্তু হায়! তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ উপহাস করেছিল শিক্ষিত হলে চাষবাস কে করবে? আমাদের ভাবনা চিন্তার দৈন্য না স্বার্থ সুরক্ষা?
প্রসঙ্গতঃ বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিগুলি যখন বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দায় নিমজ্জমান আমাদের দেশ কিন্তু সেই ধাক্কা একাধিকবার সামলে নিয়েছে। হয়তো কৃষ্ণক বন্ধুর প্রাণের বিনিময়ে। তাই আজকে যখন কৃষিবিলে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রও কৃষকের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, শুধুমাত্র আপৎকালীন ও জরুরি অবস্থা যেমন বন্যা, ক্ষরা, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও মহামারী ব্যতীত, তখন এই সমালোচনা ও প্রতিবাদ অনভিপ্রেত।
আজকে আমরা যারা সদর্থক ও সমর্থক তারা কৃষি শিক্ষার কথা বলছি, সম্পন্ন কৃষকের শতকরা হার যাতে বৃদ্ধি পায় | ঠেংড়ীজী পঞ্চাশ বছর আগে ভেবেছিলেন। অর্থাৎ একটি গিয়ে পরবর্তী প্রজন্ম চলে এসেছে। বলা বাহুল্য ভারতীয় অর্থনীতি আজও কৃষিনির্ভর এবং জিডিপির বৃদ্ধি কৃষকের আয়বৃদ্ধির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কযুক্ত। কারণ আজও ভারতের সর্বাধিক সংখ্যক নাগরিক কৃষি কার্যের সঙ্গে যুক্ত।
এখনো অবধি আমাদের আলোচনার প্রেক্ষাপট ও বিষয় ওনার রচিত চারটি পুস্তক; তাও অতীব সংক্ষিপ্ত ভাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভাবা যাক ওনার সামগ্রিক অবদান- অসংখ্য পুস্তক এবং অধিকাংশ বিবিধ ক্ষেত্রের সৃষ্টি। যদি স্রষ্টা বা প্রতিষ্ঠাতা নাও হন , তবে পৃষ্ঠপোষক। এইজন্যেই বিচারবিশ্ব !
বলতে এতটুকু কুণ্ঠা নেই যে ঠেংড়ীজীকে বর্ণনা করার প্রজ্ঞা এই প্রাবন্ধিকের নেই, আলোচনা তো দূরস্ত। তবুও প্রয়াস করলে এই বর্ণনা অন্তহীন হয়ে যাবে। অতএব উপসংহার তার নটি পর্বের জীবন দর্শন, যেটি শ্রী অমরনাথজী ডোগরা মহোদয়ের সম্পাদনায় হিন্দীতে সংকলিত, অতি সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপিত হল :
প্রথম খণ্ড : নবযুগ সূত্রপাত – শূণ্য থেকে সৃষ্টি – আদরাঞ্জলি – কৃতজ্ঞ স্মরণ ( সমর্পিত কার্যকর্তা দের প্রতি ) |
দ্বিতীয় খণ্ড : (বিচারধন) অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি – রাজনীতি চিন্তনের বিভিন্ন আয়াম।
তৃতীয় খণ্ড : গন্তব্য, রাষ্ট্র এবং শ্রমিক, সাবধান, সমাধান – চিরন্তন সুখ, প্রশ্নোত্তর।
চতুর্থ খণ্ড : শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয়করণ, রাষ্ট্রের ঔদ্যোগিকীকরণ, উদ্যোগের শ্রমিকীকরণ, রাজনীতি নিরপেক্ষ, রাষ্ট্র সমর্পিত, রাষ্ট্রের সম্মুখে সংপ্রশ্ন।
পঞ্চম খণ্ড : সংসদে প্রদত্ত কিছু নির্বাচিত ভাষণ, বিদেশে প্রদত্ত কিছু বৌদ্ধিক, পাশ্চাত্য প্রভাবমুক্ত আধুনিকীকরণ রচনা ও পর্যালোচনা।
ষষ্ঠ খণ্ড : মাননীয় দত্তপন্থ ঠেংড়ীজীর সহস্তলিখিত সামগ্রী, রচনা , প্রস্তাবসমূহের রোমন্থন।
সপ্তম খণ্ড : কার্যকর্তা নির্মাণ, আদর্শবাদী নেতৃত্ব, অপরিবর্তনীয় ধ্যান ধারণা সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি, সংগঠন, ক্রান্তি ধর্মনিরপেক্ষতা, সংবিধান ও জাতীয় পতাকা।
অষ্টম খণ্ড : ভারতীয় কিষান সঙ্ঘ, স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ, সর্বপথ সমাদর মঞ্চ, পর্যাবরণ (পরিবেশ) মঞ্চ, গণ সংগঠনগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয়, অর্থনৈতিক চিন্তন, রচনা ও বিবিধ পর্যালোচনা।
নবম খণ্ড : সামাজিক ন্যায়ে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর, বাবা সাহেব ও শ্রমিক সংগঠন, আম্বেদকারের সুগভীর রাষ্ট্রভক্তি, সমরসতা (সাম্য), দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা, ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর ও শ্রী দত্তপন্থ ঠেংড়ীজীর ব্যক্তিত্ব ও কৃতিত্ব।
সমর্পিত, প্রজ্ঞাবান, দূরদর্শী, ভবিষৎ দ্রষ্টা, সর্বাহীতাকাঙ্খী ও প্রকৃত সনাতন ( ঐতিহ্য বাহী আধুনিক মনন ) রাষ্ট্রঋষি কে অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই।
(লেখক পরিচিতি: ‘চন্দ্রগুপ্ত’ ছদ্মনামে জনৈক সহযোগী অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট বৌদ্ধিক সংগঠক)।
ছবিটি সংগৃহীত হয়েছে ইন্টারনেট থেকে।
চন্দ্রগুপ্ত