বেশ কিছুদিন ধরেই করোনা আবহে কালীপূজা ও দীপাবলিতে বাজি ফাটানো উচিত কি না, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। করোনা রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। আতসবাজি পোড়ালে সেই শ্বাসকষ্ট আরও বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা৷ আর সেই মামলার রায়তেই চলতি বছরে বাজি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, দুর্গাপূজার মতই কালীপূজা, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো থেকে কার্তিক পুজোতেও মণ্ডপে নো এন্ট্রি ঘোষণা করল হাইকোর্ট।
ফলে একদিকে যেমন কালীপূজা এবং ছটপূজায়
রাজ্যে সমস্ত ধরনের বাজি কেনাবেচা ও ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে, তেমনই মণ্ডপে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞাও বজায় থাকছে।
প্রায়শই বিভিন্ন মামলা নিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। তবে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী চলতি বছরে দুর্গাপূজা পরিচালনা করার জন্য কলকাতা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যের নির্দেশে দুর্গাপূজায় ক্লাবগুলির সক্রিয়তায় যেমন কোভিড সংক্রমণের হার বাড়েনি, তেমনই এবারেও ক্লাবগুলিকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর জন্য কোনওরকম অনুমতি দেবে না কলকাতা পুলিশ। উল্টে নজরদারি রাখতে হবে কেউ বা কারা নিয়ম ভেঙে সেখানে ছট পুজো করার চেষ্টা করছে কিনা। আর সেই অনুযায়ী রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।