হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে দুর্গাপুজো৷ তার ফলে বাংলায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ রাজ্য সরকারের প্রশংসায় হাইকোর্ট৷ এবার কালীপূজাও দুর্গাপুজোর মতোই বিধিনিষেধ মেনে হোক চাইছে হাইকোর্ট৷ সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্যই দুর্গাপুজোয় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, দুর্গাপুজোর মতোই বিধিনিষেধ মেনে হোক কালীপুজো। পুজো নিয়ে জনস্বার্থ মামনার শুনানিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এ বছর কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং কার্তিক পুজো দুর্গাপুজোর মতোই বিধিনিষেধ মেনে করতে হবে৷ প্যান্ডেলের বাইরে ৫ মিটার নো এন্ট্রি জোন থাকবে৷
ঢাকি প্যান্ডেলের নো এন্ট্রি জোনের বাইরে ৫ মিটারের মধ্যে থাকবে৷ ১৫০ মিটারের মধ্যে ১০ জন এবং ৩০০ মিটারের মধ্যে ১৫ জন ৩০০ বেশি মণ্ডপে ৪৫ জন এক সাথে প্রবেশ করতে পারবে৷ পুজো মণ্ডপের ভেতরে ও বাইরে স্যানিটাইজার, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলে নির্দেশিকাতে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷
একই সঙ্গে আদালতে আরও জানিয়েছে যে, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং কার্তিক পুজোয় কোনও শুভযাত্রা করা যাবে না৷ কোনও লাইটিং, ব্যান্ড ব্যবহার করা যাবে না৷ স্থানীয় থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও কোথাও যেন বেশি মানুষ ভিড় না করে৷ পাশাপাশি বৃহত্তর মানুষে জীবনের কথা ভেবে এ বছর ছট, কালীপুজো, দীপাবলিতে কোন বাজি পোড়ানো যাবে না৷
প্রকাশ্যে কোন বাজি বিক্রি করাও যাবে না বলে নির্দেশিকাতে জানিয়েছে আদালত। এই প্রসঙ্গে পুলিশকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় থানার পুলিশকে কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে৷
অবশ্য কোর্টের নির্দেশের আগেই গত মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন,‘কোভিড রোগীর পক্ষে বায়ুদূষণ মারাত্মক। তাই কালীপুজোয় বাজি ফাটাবেন না।
করোনা আবহে বাজি থেকে দূরে থাকুন।’ তিনি আরও বলেন, দুর্গাপুজোয় মতই মণ্ডপের চারপাশ যেন খোলা রেখে কালীপুজো করতে হবে৷ পুলিশের সঙ্গে কথা বলেই কালীপুজো বিসর্জন করতে হবে৷ তবে বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবে না৷ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷