আগামী চার বছর কার দখলে থাকবে হোয়াইট হাউস? ডোনাল্ড ট্রাম্প না জো বাইডেন ? আমেরিকায় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি জো বাইডেন, কে হবেন বিজয়ী ? নিউইর্য়ক, নিউজার্সি ও ভার্জিনিয়ার পোলিং স্টেশনে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহি ভোটদাতাদের বেশ লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে ৷ অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের নির্বাচনে প্রায় ১০ কোটি আমেরিকান ডাক যোগে ভোট দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে এবার রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়তে চলেছে ৷ আরও এরই মাঝে দেখা দিল বিতর্ক ৷ জানা গিয়েছে, বেশ কিছু অংশ ভোটদাতাদের কাছে ফোন এসেছে যাতে তাদের ভোট দিতে মানা করা হয়েছে ৷ এবং বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
খবর পেতেই ইতিমধ্যেই FBI এই সমস্ত অটোমেটেড কলের তদন্ত শুরু করে দিয়েছে ৷ এজেন্সির এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ফোন কলের মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা ও ভোট না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে ৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটের সময় এই সমস্ত ঘটনা হয়েই থাকে ৷ নিউইর্য়কের অ্যার্টোনি জেনারেল জানিয়েছেন, তার বিভাগ এই বিষয়ে তদন্ত করছে ৷ তিনি আরও বলেছেন,‘ভোট দেওয়া আমাদের গণতন্ত্রের ভিত ৷ তা থেকে মানুষকে আটকানো অপরাধমূলক কাজ হিসেবে ধরা হবে এবং তা কখনই মেনে নেওয়া হবে না ৷’
মিশিগানের অর্টোনি জেনারেলও জানিয়েছেন, তার কাছে এরকম ফোন কলের অভিযোগ এসেছে ৷ আমেরিকায় এবার রের্কড সংখ্যক ভোটগ্রহণের কথা বলা হয়েছে বারেবারে ৷ ২০১৬ সালে ১৩.৮ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। এবার অনায়াসে সেই সংখ্যা ছাপিয়ে যাবে। টেক্সাস, হাওয়াই, মোন্টানা, ওয়াশিংটন ও ওরেগনে বেশ উৎসাহ দেখা গিয়েছে ভোটদাতাদের মধ্যে
মরিয়া লড়াই লড়েছে সব পক্ষই। শেষ মুহূর্তে রীতিমতো কার্পেট বম্বিংয়ের ঢঙে সভা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তাতে কি চিড়ে ভিজবে, মন গলবে মার্কিনিদের? প্রাক-ভোট সমীক্ষা কিন্তু বলছে ঠাঁই কঠিন। আর ভোটের ছবিটা ঠিক কেমন? এদিন ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশগুলিতে দেখা গেল মানুষ ভাইরাসের দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে রাস্তায় নেমে এসেছেন মত দিতে। কোথাও আধঘণ্টা, কোথাও আবার এক ঘণ্টার লাইনও পড়ল। আলাস্কায় শেষ পর্যায়ের মতদান চলল মার্কিন সময় সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত । তবে প্রতিবার মার্কিনিরা ভোট দেন হাসিখুশি মেজাজে, এবার সেই মেজাজটা উধাও।