যতটা দুঃখ হওয়ার কথা ছিল ততটা হচ্ছে না। আজ স্রেফ বিদ্যাসাগরের মুর্তিটাই ভেঙে চুরমার হয়েছে। আসল মানুষটার নীতি আদর্শবোধ শিক্ষা এসব কত আগেই আমরা ভেঙে চুরমার করেছি। বিদ্যাসাগর দাঁড়িয়ে দেখছেন।
শিক্ষিকা কে জলের জাগ ছুঁড়ে মারা রাজনীতিবিদ এর শাস্তি হয় নি, হার্ভার্ড ফেরত শিক্ষাবিদের সার্টিফিকেট জুটে যায়। আমরা চুপ। বিদ্যাসাগর দাঁড়িয়ে দেখছেন।
নম্বর বাড়িয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলনে তাদের বাবা মা রা সামিল। আমরা চুপ। বিদ্যাসাগর দাঁড়িয়ে দেখছেন।
শিক্ষকের চাকরির সফল দের তালিকায় রাতারাতি পাল্টে নাম ঢুকে যায় রাজনীতিবিদের কন্যার। আমরা চুপ। বিদ্যাসাগর দাঁড়িয়ে দেখছেন।
হবু শিক্ষকরা প্রকাশ্য রাস্তায় অনশন মঞ্চে খোলা আকাশের তলায় বসে থাকে কারণ পুলিশ প্রশাসন এসে খুলে নিয়ে যায় মাথার ছাউনি। আমরা চুপ। বিদ্যাসাগর দাঁড়িয়ে দেখছেন।
মূর্তিপূজার অবিশ্বাসী বিদ্যাসাগর নিজের মূর্তি ভাঙাটাও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন এ আর নতুন কি। এর আগেও তো ভেঙেছে।
কোনো বর্দেবরর সাধ্য নেই বোঝার যে আজ তারা কি পরিমাণ অন্যায় কুৎসিত কাজ করলো। আমাদের যাদের মনে বিদ্যাসাগরের মূর্তি গড়া আছে তারা এইসব দুর্বৃত্তদের এমন শাস্তি দেব বুঝতে পারবে শিগগিরই। দুঃখ নয়, রাগ হচ্ছে। প্রচন্ড রাগ।
শাস্তি পেতেই হবে। বিদ্যাসাগর দাঁড়িয়ে দেখবেন।