ফের মুসলিম মৌলবাদীদের লক্ষ্যে ফ্রান্স (France)! আরও একবার হামলা চালানো হল চার্চের কাছে। আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত এক গ্রিক ধর্মযাজক। সংকটজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধে নাগাদ লিয়ঁ (Lyon) শহরের কেন্দ্রস্থলে ঘটনাটি ঘটেছে। ফ্রান্স পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন সন্ধেবেলা অন্যদিনের মতোই চার্চে যাচ্ছিলেন ওই গ্রিক ধর্মযাজক। চার্চের একেবারে কাছেই তাঁকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালায় আততায়ী। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালায় ওই দুষ্কৃতী। ওই যাজককে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। আততায়ীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরেই ফ্রান্সে নিয়মিত ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। ৭২ ঘণ্টায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চার্চে হামলা। এর আগে ঐতিহাসিক নোতরদাম গির্জায় হামলা চালিয়ে এক মহিলার মাথা কেটে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গতকালের ঘটনাও ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদেরই কীর্তি বলে মনে করছে ফ্রেঞ্চ পুলিশ।
গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের বুকে এক শিক্ষককে মাথা কেটে খুন করে এক চেচেন মুসলিম জঙ্গি। পড়ুয়াদের বাক স্বাধীনতার পাঠ দিতে হজরত মহম্মদের একটি ব্যঙ্গচিত্র দেখিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। এর জেরে তাঁকে নৃংশসভাবে হত্যা করা হয়। এরপরই ওই ঘটনাকে ‘ইসলামিক মৌলবাদের’ স্বরূপ বলে তোপ দেগেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron)। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওই শিক্ষককে ‘নায়ক’ বলে মন্তব্য করেন। হামলার ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদ’ ও ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী হামলা’র মতো শব্দ ব্যবহার করেন তিনি। তারপর থেকেই গোটা মুসলিম বিশ্বের রোষের মুখে পড়েছে ফ্রান্স। নিয়মিত ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালাচ্ছে আততায়ীরা। বাধ্য হয়েই ম্যাক্রোঁ ফের মুখ খুলেছেন। গতকাল এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন,”আমি আপনাদের আঘাতের জায়গাটা বুঝতে পারছি। কিন্তু হিংসা বন্ধ হোক। কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেব না। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।”