দ্বিতীয় পর্ব
যজ্ঞবিদ্যা মহাবিদ্যা গুহ্যবিদ্যা চ শোভনা ।
আত্ম্যবিদ্যা চ দেবি বিমুক্তিফলদায়িনী ।।
তিনি পদ্মাসনা , পদ্মহস্তা, দ্বিভুজা বা চতুর্ভুজা। মহামায়া ব্রহ্মময়ীর এক রূপ মহালক্ষ্মী কমলেকামিনী।
শ্রীঃ কমলা বিদ্যা মাতা বিষ্ণুপ্রিয়া সতী ।
পদ্মালয়া পদ্মহস্তা পদ্মাক্ষী পদ্মসুন্দরী ।।
ভূতানামীশ্বরী নিত্যা মতা সত্যাগতা শুভা ।
বিষ্ণুপত্নী মহাদেবী ক্ষীরোদতনয়া ক্ষমা ।।
অনন্তলোকলাভা চ ভূলীলা চ সুখপ্রদা ।
রুক্মিণী চ তথা সীতা মা বৈ বেদবতী শুভা ।।
এতানি পুন্যনামানি প্রাতরুথায় যঃ পঠেৎ ।
মহাশ্রিয়নবাপ্নোতি ধনধান্যকল্মষম্ ।।
শ্রী, কমলা বিদ্যা, মাতা, বিষ্ণুপ্রিয়া, সতী, পদ্মালয়া পদ্মহস্তা পদ্মাক্ষী পদ্মসুন্দরী, ভূতগণের ঈশ্বরী, নিত্যা, সত্যাগতা, শুভা, বিষ্ণুপত্নী, ক্ষীরোদ – তনয়া, ক্ষমা স্বরূপা, অনন্তলোকলাভা, ভূলীলা, সুখপ্রদা, রুক্মিণী, সীতা, বেদবতী – দেবীর এ সকল নাম। প্রাতেঃ উত্থান কালে যারা দেবীর এই পুন্য নামাবলী পাঠ করেন তারা বিপুল ঐশ্বর্য পেয়ে ধনী হয়ে থাকেন।
প্রাচীন মুদ্রা – শিলালেখ এবং মূর্তি পরিকল্পনা বহু সুপ্রাচীন। দেবী মহাশক্তিকে উর্বরা শক্তি এবং প্রজননের দেবী হিসাবে সুপ্রাচীন কাল হতে পূজা করা হয়।
ধান…..আপামর বাঙ্গালী তথা ভারতবাসীর ক্ষুন্নিবৃত্তি তথা উৎপাদন ও সম্পদ আহরণের অন্যতম উপাদান হল ধান। নদীমাতৃক বঙ্গের ভূমি এতই উর্বর ছিল সর্ব প্রধান এবং উল্লেখযোগ্য শস্য হিসাবে ধানের উৎপাদন হত এবং এখনো হয়। সেই সুপ্রাচীন #পাণ্ডুরাজার_ঢিবি …..তারা ভাত খেতো। একই সঙ্গে মাংস, মাছ এবং ফলমূলও তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাই প্রথমেই প্রধান শস্য ধানের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করা উচিত। তার সঙ্গে যেসব প্রজাতির ধান চাষ বন্ধ হয়ে গেছে তাদের কথাও বলব।
খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় হতে দ্বিতীয় শতকের মধ্যে উৎকীর্ণ প্রাচীন #করোতোয়া তীরবর্তী মহাস্থানের শিলাখণ্ড থেকে ধানের কথা পাই। এটি একটি রাজকীয় আদেশ এবং রাজার নাম অজ্ঞাত। যে স্থান হতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে তার নাম অজ্ঞাত। তবে এর অক্ষর দেখে শ্রীযুক্ত দেবদত্ত রামকৃষ্ণ ভান্ডাকর মহাশয় অনুমান করেন এবং তার অনুমান সত্য বলে মনে করা হয়, যে আদেশ টি এসেছিল কোন #মৌর্য সম্রাটের নিকট হতে। আদেশ দেয়া হয়েছে পুন্দনগলের বা পুন্ড্রনগরের মহামাত্রকে তাঁকে শাসন উল্লিখিত আদেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
লিপিতে উল্লেখ হয়েছে পুন্ড্রনগরে ও তার পার্শ্ববর্তী স্থানে #সংবঙ্গীদের মধ্যে ( বিতর্কিত ভাবে ছবগীয় বা ষড়বর্গীয় ভিক্ষুদের মধ্যে) কোন দৈব দুর্বিপাক বসত দুর্ভিক্ষ ও নিদারুণ দুর্ভোগ দেখা গেছিল । লিপিতে এই দুর্বিপাক যে কি তা উল্লেখ করা নেই। লিপি অনুযায়ী এই দুর্গতি হতে ত্রাণের উদ্দেশ্যে দুটি উপায় অবলম্বন করা হয়েছিল- প্রথমটি কি তা হয়তো শিলাখণ্ডের প্রথম পংক্তিতে লেখা ছিল। কিন্তু সেই অংশটি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যেতে তা জানতে পারা যায়নি। তবে অনুমান করা হয়েছে গণ্ডক মুদ্রায় কিছু অর্থ সংবঙ্গীদের নেতা গলদনের হাতে দেওয়া হয়েছিল ঋণ হিসাবে।
দ্বিতীয় উপায় রাজকীয় ভান্ডার হতে দুঃস্থ জনসাধারণকে ধান দেওয়া হয়েছিল। খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য না কৃষির উৎপাদনের বীজ হিসাবে সে কথার উল্লেখ কিন্তু শিলালিপিতে করা হয়নি । কিন্তু এই ধান ঋণ সাবে দেওয়া হয়েছিল। কারন স্বরূপ লিপিতেএই আশার উল্লেখ আছে যে রাজকীয় আদেশের ফলে সমগ্র ভিক্ষুরা বিপদ কেটে উঠতে পারবে এবং জনসাধারণের মধ্যে আবার সমৃদ্ধি ফিরে আসবে। তখন গণ্ডক মুদ্রার মাধ্যমে রাজকোষ এবং ধান দিয়ে কোঠাগার ভরে দিতে হবে ।
এ হতে উপলব্ধি করা যায় জনসাধারণের নিকট ধানই প্রধান উপজীব্য ছিল । দুর্ভিক্ষ দুর্গতির সময়ও ধানকে ঋণ স্বরূপ গ্রহণই ছিল জীবনের অন্যতম উপায়।
ধান গরিব জনগণের নিকট যে কি পরিমান কাম্য বস্তু ছিল তা আমরা চন্ডীমঙ্গল কাব্যেও পাই:
আছয়ে তোমার সই বিমলার মাতা
লইয়া সাজারু ভেট যাহ তুমি তথা।
খুদ কিছু ধার লহ সখীর ভবনে
কাঁচড়া খুদের জাউ রান্ধিও যতনে।
রান্ধিও নালিতা শাক হাঁড়ি দুই তিন
লবণের তরে চারি কড়া কর ঋণ।
সখীর উপরে দেহ তন্ডুলের ভার
তোমার বদলে আমি করিব পসার।
গোধিকা রাখ্যাছি বান্ধি দিয়া জাল-দড়া
ছাল উতারিয়া প্রিয়ে কর শিক-পোড়া।
অথবা ঢেণ্ঢন পাদ রচিত চর্যাপদে সেই কোন ছোট বেলায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে আমরা পড়েছিলাম….
টালত মোর ঘর নাহি পড়বেসী ।
হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী ॥
বেঙ্গসঁ সাপ চঢ়িল জাই ।
দুহিল দুধু কি বেন্টে সামাই ॥
বলদ বিআএল গবিআ বাঁঝে।
পীঢ়া দুহিঅই এ তীন সাঝে ।।
জো সো বুধী সোহি নিবধী।
জো সো চোর সোহি সাধী ॥
নিতি নিতি সিআলা সিহে সম জুঝই ।
ঢেন্ঢন পাএর গীত বিরলে বুঝই ॥
টোলায় আমার ঘর, প্রতিবেশী নাই;অন্নহীন, নাই তবু ইষ্টির কামাই!ব্যাঙ কি কামড় মারে সাপের শরীরে?অথবা দোয়ানো দুধ বাঁটে যায় ফিরে?বলদে বিয়ায় আর গাভি হয় বন্ধ্যা,পিঁড়ায় দোয়ানো হয় তাকে তিন সন্ধ্যা–যে জ্ঞানী সবার চেয়ে, অজ্ঞান সে ঘোর;সবার চেয়ে যে সাধু, সেই ব্যাটা চোর!শিয়াল-সিংহের যুদ্ধ চলে অনুক্ষণ–লোকেরা বোঝে না, তাও বলেন ঢেণ্ঢন।
যা হোক, তো উক্ত শিলালেখ থেকে এই উপলব্ধি হয় যে ধানকে সম্পদ হিসাবে ঋণ দান করে রাজা উপায় অবলম্বন করেছিলেন।সেই জন্যই রাজকোঠাগারে দুর্বিপাক কাটানোর উদ্দেশ্যে ধান সংগ্রহ করে রাখা হত। তবে উল্লেখ্য বিপদে রাজা এই ধান বিনামূল্যে বিতরণ করেন নাই । অর্থ ও ধান ঋণ স্বরূপ দিয়েছিলেন।
পরবর্তীকালে অসংখ্য লিপিতে যেমন ধানের উল্লেখ পাওয়া যায় না কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না। ধান ছিল একমাত্র উপজীব্য এবং শস্য বলতে ধানকেই বোঝানো হতো সর্বাগ্রে, তার নাম করবার প্রয়োজন হতো না । ধান একান্ত ভাবে বৃষ্টি নির্ভর । বাংলা তথা ভারত মৌসুমী জলবায়ুর দেশ। একটা সময় পর্যন্ত শুধু এই জলবায়ুর উপর ভিত্তি করেই ধান চাষ হত। রাজেন্দ্রচোলের #তিরুমলয় লিপিতে বঙ্গে অবিরাম বারিপাতের উল্লেখ আছে। #পাল লিপিতে সেই প্রসিদ্ধ পদ পাওয়া গেছে ” দেশে প্রাচি প্রচুর পয়সী স্বচ্ছমাপিয় তোয়ং”…..কবি জয়দেব বলেছেন #মেঘৈর্মেদুরমম্বরম। ঘন বর্ষার মেঘ মেদুর
আকাশকে অভিনন্দন করেছেন।যদিও বারিবাহী মৌসুমী বায়ু কখনো ভালো ,কখনো অধিক, কখনো স্বল্প বৃষ্টি দেয় । সেজন্য অগণিত নদী খাল-বিলে সত্ত্বেও এদেশের লোকগানে, ব্রতকথা , মঙ্গল কাব্য, চর্যাপদে, নানা পূজাঅনুষ্ঠানে মেঘ ও আকাশের কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা ও পৃথিবীর নিকট পুষ্টিযুক্ত ভূমি প্রার্থনার বিরম নেই যুগ থেকে যুগান্তরে।
সেই কোন প্রাচীন কালে বৈদিক ঋষি মুনিরা তাই উচ্চারণ করেছিলেন মহামৃত্যুঞ্জয় মৃৎসঞ্জীবনি মন্ত্র
ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনম।
উর্বারুকমিববন্ধনান্মৃত্যোর্মুক্ষীয় মামৃতাৎ…..
তাই প্রাচীনকাল হতেই দেবীর মহালক্ষ্মী রূপ আরাধিতা। দেবী মহালক্ষ্মী আবার অষ্টরূপী। তাই অষ্টলক্ষ্মীর আরাধনা করাই রীতি। অষ্টলক্ষ্মী হলেন হিন্দু ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আটটি বিশেষ শাস্ত্রীয় রূপ। তারা সম্পদের আটটি উৎস তথা লক্ষ্মীদেবীর বিভিন্ন শক্তির প্রতীক। অষ্টলক্ষ্মী লক্ষ্মীর অপ্রধান রূপভেদ। অষ্টলক্ষ্মী কর্তৃক প্রদায়িত “সম্পদ” কথাটির অর্থ হল সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য, জ্ঞান, শক্তি, সন্তানাদি ও ক্ষমতা। মন্দিরে অষ্টলক্ষ্মীকে একযোগে পূজা করা হয়ে থাকে। ১). আদিলক্ষ্মী, ২). ধনলক্ষ্মী, ৩). ধান্যলক্ষ্মী, ৪). গজলক্ষ্মী, ৫). সন্তানলক্ষ্মী, ৬). বীরলক্ষ্মী, ৭). বিজয়ালক্ষ্মী এবং ৮). বিদ্যালক্ষ্মী।
শক , পার্থিয় , শুঙ্গ , কুষাণ , গুপ্ত যুগের সুবর্ণ মুদ্রায় দেবী লক্ষ্মী পদ্মাসনা বরদা। আবার অন্যান্য প্রস্তর মূর্তির তুলনায় গজলক্ষ্মী মূর্তি সেই সুপ্রাচীন কাল হতে পূজিত হয়ে আসছেন। পদ্মাসনা দেবী মহালক্ষ্মীর দুইদিকে একজোড়া দিকহস্তী কুম্ভোদক ঢেলে অভিষিক্ত করছেন। সাঁচী – ভারহুতের স্তূপেও গজলক্ষ্মী খোদিত । সনাতন এবং প্রতিটি সনাতনী মার্গে মহামায়ার অন্নদাত্রী রূপ মা লক্ষ্মী উপাসিতা হন।
দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়ার মহালক্ষ্মী রূপে সম্পদ , শান্তি, সৌন্দর্যের দেবীর সঙ্গে ক্ষুন্নিবৃত্তি পূরণের দেবী। তিনিই শাকম্ভরী , তিনিই অন্নপূর্ণা। খিদের অন্নই হল লক্ষ্মী। তিনি কৃষি লক্ষ্মী। মেয়েলি ব্রতের দেবী ,গৃহ লক্ষ্মী , ধান্য লক্ষ্মী । মার্কণ্ডেয় পুরাণে এই নিয়ে রয়েছে এক চমৎকার কাহিনি। বলা হচ্ছে, একবার শতবর্ষ অর্থাৎ একশো বছর ধরে পৃথিবীতে দেখা দিল অনাবৃষ্টি। যার থেকে জন্ম নিল খরা। জলের অভাবে শুকিয়ে গেল সমস্ত নদীনালা। শাকসবজির ফলন বন্ধ হয়ে গেল। উপায় নয়া দেখে মর্তবাসী দেবীর শরণাপন্ন হলেন। দেবী যোগবলে নিজের শরীর থেকে উৎপন্ন করলেন শাক। সেই দিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করলেন তিনি। সেই থেকে তাঁর নাম হল শাকম্ভরী।
শীতল চাঁদের মতো শিশিরের ভেজা পথ ধ’রে
আমরা চলিতে চাই, তারপর যেতে চাই ম’রে
দিনের আলোয় লাল আগুনের মুখে পুড়ে মাছির মতন;
অগাধ ধানের রসে অামাদের মন
আমরা ভরিতে চাই গেঁয়ো কবি—পাড়াগাঁর ভাঁড়ের মতন
জমি উপ্ড়ায়ে ফেলে চ’লে গেছে চাষা
নতুন লাঙল তার প’ড়ে আছে—পুরানো পিপাসা
জেগে আছে মাঠের উপরে;সময় হাঁকিয়া যায়
পেঁচা ওই আমাদের তরে!হেমন্তের ধান ওঠে ফ’লে—
দুই পা ছড়ায়ে বোসো এইখানে পৃথিবীর কোলে।
ধান এবং গো সম্পদ যাঁর থাকে তিনিই ধনবান। বহুব্রীহি অর্থেই ধনী। রাঢ় বঙ্গে মাঠের ফসল উঠলেই ভাদ্র, অগ্রহায়ণ, পৌষ ও চৈত্র বছরের এই চার মাস লক্ষ্মী পূজা হয় সংক্রান্তির দিন। আমার বাপের বাড়িতেও হতো। কার্তিকের লক্ষ্মী পূজা যদিও দীপান্বিতা লক্ষ্মী পূজা। ভাদ্র, পৌষ ও চৈত্রে ফসল উঠলে লক্ষ্মীকে নতুন করে পাততে হয়। আটনে আল্পনা দিয়ে লক্ষ্মীর বেতের কুনকে বা ঘরে ২১ কাঠা নতুন ধান বা চাল দিতে হয়। ধানের মাথায় বসে লাল চেলির ঘোমটা। চারদিকে বসবে পেঁচা । কারণ পেঁচা রাত্রির অন্ধকারে ফসল ক্ষতিকারী প্রাণীদের ভক্ষণ করে শস্য রক্ষা করে এবং বস্তুতন্ত্রের মান বজায় রাখে। ধানের চারিদিকে বসে সামুদ্রিক কড়ি। কোজাগরী লক্ষ্মী পূজাতেও কড়ি কএকান্ত প্রয়োজনীয় বস্তু , এছাড়াও বেতের কুনকে ভরা ধানও লাগে।
আর কি থাকে ? থাকে সিন্দুর পাতা, আলতা পাতা, লক্ষ্মীর কাঁকুই, দর্পন, তাম্র মুদ্রা ইত্যাদি। কড়ি এবং তাম্র মুদ্রা এক সময় সাধারণ মানুষের পণ্য ক্রয়ের মূল উপাদান ছিল।
গৃহে গৃহে লক্ষ্মীর উপাসনা যেন বঙ্গ তথা সনাতনী ভারতীয় জীবনের এক প্রত্নতাত্ত্বিক প্রদর্শশালা। গৃহলক্ষ্মী স্বরূপ বধূ , মাতা , কন্যা পরম্পরায় পূজিত এক জীবন্ত ইতিহাসের সূতিকাগার।
মা লক্ষ্মীর নৈবেদ্যতে যেমন চিঁড়ে ,মুড়ি ,মোয়া থাকে তেমন থাকে কিছু সহজ পদ। খিচুড়ি , লাবড়া বা ডাল ,ভাত , শাকসবজি। সেই সাধারণ সহজ পদই তো পরম প্রসাদ।
ভাদরের ভরা নদী কূল বয়ে যায়।কৃপা করে এস গো মা যত শীঘ্র হয়।।আশ্বিনে অম্বিকা সাথে পূজা আয়োজন।কোজাগরী রাতে পুনঃ করিব পূজন।।কার্তিকে কেতকী ফুল চারিধারে ফোটে।বসো এসে মাগো মোর পাতা এ ঘটে।।অঘ্রাণে আমন ধান্যে মাঠ গেছে ভরে।লক্ষ্মীপূজা করি মোরা অতি যত্ন করে।।পৌষ পার্বণে মা গো যে মনের সাধেতে।প্রতি ঘরে লক্ষ্মী পূজি নবান্ন দানেতে।।মাঘমাসে মহালক্ষ্মী মহলে রহিবে।নতুন ধান্য দিয়া পূজা করি মোরা সবে।।ফাল্গুনে ফাগের খেলা চারিধারে হয়।এস গো মা বিষ্ণুজায়া পূজিব তোমায়।।চৈত্রেতে চাতকসম চাহি তব পানে।এস ওমা পদ্মালয়া অধিনী ভবনে।।
ক্রমশঃ
©দুর্গেশনন্দিনী
তথ্যঃ ১ .শ্ৰী শ্ৰী চণ্ডী
২. মেয়েদের ব্রত কথা
৩. শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
8.বাংলার মুখ