অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়তেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে আলু, পেঁয়াজের দাম। একেই গোটা দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতি, কমেছে জনসাধারণের রোজকার। তার উপর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধিতে কপালে ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্তের। খাবার জোগান দিতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা।
এই অবস্থায় আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রনে আনতে উদ্যোগী কেন্দ্র সরকার। বাজারে আলুর জোগান বাড়াতে এবার ভুটান থেকে আলুর আমদানি করা হবে বলে জানা গেল। সাধারণত আলু আমদানি করতে হলে ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেন্ড বা ডিজিএফটি-এর অনুমোদন একান্ত জরুরী। কিন্তু আজ, শুক্রবার ডিজিএফটি একটি বিবৃতি জারি করে জানায় যে আগামী ৩০শে জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত কোনওরকম লাইসেন্স ও বিধিনিষেধ ছাড়াই ভুটান থেকে আলু আমদানি করতে পারবে ভারত। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ভুটান থেকে আলু আমদানির উপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান যে ভুটান থেকে সবমিলিয়ে ১০ লক্ষ টন আলু আমদানি করবে ভারত। বাজারে আলুর জোগান বাড়লে তবেই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী। চলছে উৎসবের মরশুম, তার উপর বিহার ভোট, সব মিলিয়ে আলু পেঁয়াজের এই আকাশছোঁয়া দাম চিন্তায় ফেলেছে কেন্দ্রকেও।
অন্যদিকে, পেঁয়াজের দামও প্রায় প্রতি কেজি দরে ১০০ টাকায় এসে ঠেকেছে। এমতাবস্থায়, পেঁয়াজের ঝাঁঝে এমনিই চোখে জল চলে আসছে সাধারণ মানুষের। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতেও বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর জন্য আফগানিস্তান থেকে ১ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।