বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার দুদিনের বাংলা সফর বাতিল হয়ে গেল। তাঁর বদলে নভেম্বরের গোড়াতেই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৫ ও ৬ নভেম্বর মেদিনীপুর ও বর্ধমানে সাংঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে ৫ নভেম্বর মেদিনীপুরে দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলির নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করবেন শাহ। পরের দিন অর্থাত্ ৬ নভেম্বর বর্ধমান শহরে সাংঠনিক বৈঠক করবেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি। ওইদিন দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমের নেতাদের নির্বাচনী সংগঠন গোছানোর টাস্ক বুঝিয়ে দেবেন শাহ। দুদিনের কোনও একটি সময়ে কলকাতার কোথাও নবদ্বীপ জোনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করা যায় কিনা তাও ভাবনাচিন্তা করছে বঙ্গ বিজেপি। সেখানে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার একটি অংশের নেতাদের ডাকা হতে পারে।
পুজোর আগেই উত্তরবঙ্গ সফর সেরে গিয়েছেন নাড্ডা। প্রথমে অমিত শাহের আসার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল হয়। এমনিতে লোকসভা ভোটের নিরিখে উত্তরবঙ্গ বিজেপির সেফ জোন। গেরুয়া শিবিরের বাড়তি তত্পরতা দক্ষিণ বঙ্গ ঘিরেই। অনেকের মতে গুরুত্ব বুঝেই হয়তো দক্ষিণবঙ্গের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করতে অমিত শাহ নিজে আসছেন।
আসন সংখ্যার নিরিখে দক্ষিণবঙ্গেই সবচেয়ে বেশি আসন রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, অমিত শাহের মতো পোড় খাওয়া নেতা জানেন, দক্ষিণবঙ্গ থেকে যদি বেশি সংখ্যায় আসন না বের করা যায় তাহলে একুশে বাংলার মসনদ দখলের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।
উত্তরবঙ্গের নেতাদের একাধিক টাস্ক দিয়ে গিয়েছিলেন নাড্ডা। বিধানসভার কো অর্ডিনেটরদের পাড়ায় পাড়ায় রাত্রিবাস, পান্না প্রমুখ নিয়োগ, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের মতো কাজ দিয়ে গিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির কাছে এটা আরও বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকের মতে, প্র্তি বুথে লোক বসানোর পরিস্থিতি এখনও তৈরি করতে পারেনি বিজেপি। শাহ এসে হয়তো সে ব্যাপারেই ভোকাল টনিক দিয়ে যাবেন।
সন্দেহ নেই, বাংলায় ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। সব দলই প্রায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিজেপি এ ব্যাপারে আরও কোমর বেঁধে নামতে চাইছে। কারণ, পাখির চোখ বাংলা।