পাক রাষ্ট্রদূত মইন উল হক চিনে বদলি হয়ে যাওয়ার পর নতুন কেউ স্থলাভিষিক্ত হননি ফ্রান্সে। সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাকিস্তানের জাতীয় আইন পরিষদ ফ্রান্স থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে, কারণ বিগত সপ্তাহে ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফরাসী পত্রিকা থেকে হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্রটি তুলে নিতে অস্বীকার করেছেন। এই ব্যপারে জানানো যায় যে তিন মাস আগে পাক রাষ্ট্রদূত মইন উল হক চিনে বদলি হয়ে যাওয়ার পর ফ্রান্সে আর কোনো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেননি পাক সরকার।
হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্রটি মুসলিমদের মধ্যে ক্রোধের সৃষ্টি করেছে এবং প্রতিবাদ স্বরূপ সমস্ত ফরাসী দ্রব্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। ফ্রান্স বিরোধী এই প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ তুর্কি রাষ্ট্রপতি তাইপ এরদোগান এবং তিনি ম্যাক্রোঁ’র মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে ফরাসী রাষ্ট্রদূতকে ইতিমধ্যেই তুরস্কে ডেকে পাঠানো হয়েছে আলাপ-আলোচনার জন্য, যা এই মূহুর্তে দুইদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তুরস্কের সঙ্গে এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে ইরাক, বাংলাদেশ, গাজাস্ট্রিপের মতো মুসলিম রাষ্ট্রগুলি।
উল্লেখ্য যে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত ১৬ ই অক্টোবর। ঐদিন ক্লাসে হজরত মহম্মদের একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে প্যারিসের এক স্কুল শিক্ষকের শিরচ্ছেদ করে নির্মমভাবে হত্যা করে ১৮ বছর বয়সী এক চেচেন যুবক।
ফরাসী প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে কোনো ধর্মীয় ব্যঙ্গাত্মক রচনা সেখানের মানুষের বাক-স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে। যদিও বেশীরভাগ মুসলিম সম্প্রদায় ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের ব্যাপারটিকে গুরুতর অপরাধ এবং তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলে মনে করছেন।