জিতলে প্লে–অফের দিকে আরও এক পা এগোবে দল। প্রতিপক্ষ চলতি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করা মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। কিন্তু ছন্নছাড়া বোলিংয়ে ডুবল নাইটরা। ধোনি–ওয়াটসনরা ব্যর্থ হলেও ঋতুরাজ গায়কোয়াডের ব্যাটে দুরন্ত জয় পেল চেন্নাই (Chennai)। সবচেয়ে বড় কথা টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে এই হার শেষ চারের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে দিল ইওন মর্গ্যান–সুনীল নারিন–দীনেশ কার্তিকদের।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। লক্ষ্য ছিল অবশ্যই KKR-এর নড়বড়ে টপ অর্ডারকে শুরুতেই ফিরিয়ে বিপক্ষ ইনিংসে ধস নামানো। কিন্তু দুই কেকেআর ওপেনার গিল এবং রানা শুরুটা ভালই করেন। তবে ২৫ রানে গিল ফিরতেই দ্রুত আরও দু’টি উইকেট হারায় কলকাতা। নারিন এবং রিঙ্কু সিং দু’জনেই ব্যর্থ হন। তবে উলটোদিকে এদিনও ফর্মে ছিলেন নীতীশ রানা। ৬১ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। মারেন ১০টি চার ও ৪টি ছয়। শেষদিকে, কার্তিক অপরাজিত ২১ রানের সৌজন্যে কেকেআর রান নির্ধারিত ২০ ওভারে দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ১৭২।
জবাবে শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি চেন্নাইয়ের। ১৪ রান করে বরুণের বলে আউট হন ওয়াটসন। এরপর অবশ্য রায়ডু এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। দু’জনে মিলে ৬৮ রান যোগ করেন। শেষপর্যন্ত রায়ডুকে ৩৮ রানে আউট করে এই জুটি ভাঙেন কামিন্স। এরপর দ্রুত ধোনিকে ফিরিয়ে দেন সেই বরুণ চক্রবর্তী। চার বলে মাত্র ১ রান করে বোল্ড হন চেন্নাই অধিনায়ক। উলটোদিকে অবশ্য ঋতুরাজ গায়কোয়াড নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। কার্যত একার কাঁধে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। শেষপর্যন্ত ৭২ রানে থামে তাঁর ইনিংস। ৫৩ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছয় মারেন ঋতুরাজ। কিন্তু তিনি ফিরতেই খেলায় ফেরে নাইটরা।
শেষদিকে আঁটসাঁট বোলিং চেন্নাইয়ের জন্য ম্যাচ কিছুটা কঠিন করে দেয়। শেষ দু’ওভারে জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৩০ রানের। কিন্তু স্যাম কুরান এবং রবীন্দ্র জাদেজা জুটি লকি ফার্গুসনের ১৯তম ওভারে ২০ রান তোলেন। এর ফলে শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ১০ রানের। যা তুলে সহজেই দলকে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেয় এই জুটি। তবে এই জয়ের কিছুটা কৃতিত্ব বলতে গেলে জাদেজারও। শেষদিকে তাঁর ঝোড়ো ইনিংসই চেন্নাইকে দু’পয়েন্ট এনে দিল।বোলিংয়ে বরুণ ছাড়া কেউই সফল হলেন না। দু’টি উইকেট পেলেন তিনি। কিন্তু ব্যাট হাতে নীতীশ বা বরুণের এই লড়াই কোনওটাই কাজে এল না। আপাতত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হেরে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে কেকেআর। শেষ চারে যেতে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের ফলাফলের দিকেও।