করোনা-আবহে বিহারে শুরু হয়ে গিয়েছে গণতন্ত্রের উৎসব। বুধবার সকাল সাতটা থেকে বিহারে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। প্রথম দফায় বিহারের ১৬টি জেলার ৭১টি আসনে ১,০৬৬ জন প্রার্থীদের ভাগ্য ইভিএমবন্দি হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে করোনাবিধি মেনেই সুষ্ঠু ভাবে ভোটার আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে প্রতিটি পোলিং বুথ স্যানিটাইজড করা হয়েছে। বুথের সংখ্যা যেমন বাড়ানো হয়েছে, তেমনই মেয়াদ বেড়েছে ভোটগ্রহণের সময়সীমারও। বেলা এগারোটা পর্যন্ত বিহারে ভোট পড়েছে ১৮.৪৮ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিহারে প্রথম দফার ভোটে মোট পোলিং স্টেশনে সংখ্যা ৩১,৩৭১টি। এছাড়াও ৪১,৬৮৯টি ব্যালট ইউনিট, ৩১,৩৭১টি কন্ট্রোল ইউনিট এবং ৩১,৩৭১টি ভিভিপ্যাট।
ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে বিহারের জনগণকে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিটি মানুষকে গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও। সকাল সকাল নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। লখিসরাইয়ের একটি বুথে ভোট দিয়েছেন গিরিরাজ সিং। গয়ায় সাইকেল চালিয়ে ভোট দিতে গিয়েছেন বিহারের মন্ত্রী প্রেম কুমার। ভোট দিয়েছেন জামুইয়ের বিজেপি প্রার্থী এবং শুটার শ্রেয়সী সিং। করোনাভাইরাসের কথা মাথায় রেখে, পোলিং বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতি ভোটারদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হয়। মুঙ্গেরের জেলাশাসক রাজেশ মীনা জানিয়েছেন, ‘সমস্ত বুথে ভোট দেওয়ার জন্য সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোলিং বুথের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।’ ইভিএম-এ ত্রুটির কারণে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই ভোটদান বন্ধ হয়ে যায় জেহানাবাদের ১৭০ নম্বর পোলিং বুথে। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই ঔরাঙ্গাবাদ জেলার ঢিবরা এলাকা থেকে দু’টি আইইডি উদ্ধার করে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, পরে ওই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হয়।
প্রথম দফার ভোটে ভাগ্য পরীক্ষা হবে মোট ১,০৬৬ জন প্রার্থীর। তাঁদের মধ্যে ৯৫২ জন পুরুষ এবং ১১৪ জন মহিলা প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ২.১৫ কোটি ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ২.১৫ কোটির মধ্যে ১.১২ কোটি পুরুষ, ১.০১ কোটি মহিলা এবং ৫৯৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত।