রাজ্য এবং কেন্দ্রিয় বোর্ডের দশম শ্রেণির ফলাফল ঘোষণার পর বহু ছাত্র-ছাত্রীকে বেশ উচ্চমানের গ্রেড অর্জন করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে থেকে এমন দুজন ছাত্রীর কথা এখন বলা হবে যারা সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে পেরিয়ে এসে সাফল্যের পথে পা রেখেছে।
এই দুই কন্যার পিতাদের হত্যা করা হয়, সি.পি.এম সমর্থকরা তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। পিতার মৃত্যুর পর স্বভাবতই সংসারের টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু কোনোকিছুই এই দুই কন্যাকে আটকে রাখতে পারে নি। কঠোর পরিশ্রম করে দুজনেই দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ‘A+’ গ্রেড পেয়েছেন তাঁরা । এই দুই বালিকার একজন হলেন- বিস্মায়া, বাড়ি – কন্নুর জেলার ধরমাদমে, এবং অপরজনের নাম- আস্বথি কৃষ্ণা, বাড়ি-পালাক্কাড় জেলার কাঞ্জিক্কড়ে ছান্দাকালায় গ্রামে। দুজনেই রাজ্য স্তরের বোর্ডের পরীক্ষায় বসেছিলেন। দুজনেই সমস্ত বিষয়ে ‘A+’ গ্রেড পেয়ে পাস করেছেন।
বিস্মায়ার বাবা আন্দাল্লুর সন্তোষ এবং আস্বথির বাবা রাধাকৃষ্ণান দুজনেই ছিলেন আরএসএস এবং বিজেপির সক্রিয় সমর্থক । দুজনেই সিপিএম সমর্থকদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন। তিন বছর আগে সশস্ত্র সিপিএম সমর্থকরা রাধাকৃষ্ণানের বাড়িতে ঝড়ের বেগে প্রবেশ করে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে। শুধু তাঁকে নয় এই জল্লাদ বাহিনী তাঁর ভাই এবং স্ত্রীকেও হত্যা করেন, এবং সব শেষে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বিস্মায়ার বাবা ছিলেন কৃষক, বাবার অবর্তমানে তার মা তাদের সামান্য জমিতে ফসল ফলানোর চেষ্টা করেন। দশম শ্রেনির পর দ্বাদশ শ্রেনিতে বিস্মায়া গণিত ও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবে। তার লক্ষ্য হল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসা এবং পাস করে বড় অফিসার হওয়া। তার দাদা দিল্লিতে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করেন। বাবার মৃত্যুর পর বিস্মায়া একটি কবিতা লেখেন, এই কবিতায় খুনিদের কাছে প্রশ্ন তোলা হয় ‘কেন তারা তার বাবাকে হত্যা করলো’ এই কবিতা রাজ্যের সমস্ত দক্ষিনপন্থি মানুষজনকে বিস্মায়ার পাশে এনে দাঁড় করায়। বিস্মায়া তার এই সাফল্যের জন্য তার বাবার রাজনৈতিক দলের সমস্ত সমর্থকদের বিস্মায়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। বিস্মায়া পালাক্কড়ের গভর্নমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী।
বিজেওয়াইএম স্টেট সেক্রেটারি কে পি অরুণ কুমার বিস্মায়ার বাড়িতে আসেন এবং তার সাফল্যের জন্য তাকে সংবর্ধিত করেন অন্যদিকে পি গোপালানকুট্টি আস্বথির বাড়ি গিয়ে তাকে তার সাফল্যের জন্য সংবর্ধিত করেন।