দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে ভূগর্ভস্থ ও পানীয় জলের অপব্যবহার শাস্তিযোগ্য বলে সিদ্ধান্ত নিল সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার অথরিটি বা সিজিডব্লিউএ। এ ব্যাপারে পুর সংস্থাগুলিকে ঠিকমতো নিয়মকানুন ও পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দিয়েছে তারা।
কল খুলে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মূল্যবান জল নষ্ট করা এ দেশের নিয়ম। জল নষ্ট হয়ে নর্দমায় গিয়ে পড়ে, অথচ এমন অসংখ্য মানুষ আছেন, যাঁদের কাছে পরিশুদ্ধ পানীয় জলটুকুও পৌঁছয় না। এই পরিস্থিতিতে ২০১৯-এর ১৫ অক্টোবর ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালের নির্দেশ অনুসারে পরিবেশ (সুরক্ষা) আইনের ৫ নম্বর ধারায় নোটিশ জারি করেছে সিজিডব্লিইএ। রাজেন্দ্র ত্যাগী বনাম ভারত সরকার মামলায় আবেদনকারী দাবি করেন, জল নষ্ট ও অপব্যবহার করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখতে হবে। এরপরই গ্রিন ট্রাইবুন্যালের এ ব্যাপারে নির্দেশ। সিজিডব্লিউএ বলেছে, জল বোর্ড হোক, বা জল নিগম, ওয়াটার ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট, পুরসভা বা পঞ্চায়েত- সব কটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ে কাজ করা পুর সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করবে, তাদের এলাকায় পানীয় জল বা ভূগর্ভস্থ জলের কোনওরকম অপব্যবহার হয় না। এর অন্যথা হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পথ খোলা রাখতে হবে।
দেশের কোথাও কেউ যাতে জল নষ্ট না করে সে দিকে নজর রাখতে হবে বলেও নির্দেশে বলা হয়েছে।
রাজেন্দ্র ত্যাগীর হয়ে গ্রিন ট্রাইবুন্যালে যিনি মামলা লড়েন সেই আইনজীবী আকাশ বশিষ্ঠ বলেছেন, ভূগর্ভস্থ জল ও পানীয় জল নষ্ট করলে ৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে, জরিমানাও হতে পারে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। বা এক সঙ্গে দুটোই। এরপরেও যদি অপরাধী নিয়ম না মানেন, তবে প্রতিদিন তাঁর ওপর ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা বসতে পারে।