মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বৈঠকের ফলাফল বেশ আশাপ্রদ। চিনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে মাঝেই আরও কাছাকাছি আমেরিকা-ভারত। ফলে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারের বৈঠক রক্তচাপ বাড়াবে বেজিংয়ের, তা বলাই বাহুল্য।
সামরিক ক্ষেত্রে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। কৌশলগত দিক থেকে এই মুহুর্তে আমেরিকা সমর্থন ভারতের প্রয়োজন, চিনকে মোকাবিলা করার জন্য। সোমবারের এই বৈঠকে সেনা সহায়তা, অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের আদান প্রদানের বিষয়ে কথা হয়েছে দুই দেশের বলে সূত্রের খবর।
২+২ মন্ত্রী স্তরের বৈঠকের আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই সাইডলাইন বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বৈঠকের পর ট্যুইট করেন রাজনাথ সিং। তিনি বলেন ২৬ তারিখের বৈঠক বেশ সফল হয়েছে। বিশ্বের দুই অন্যতম বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ নিজেদের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিডিএস বিপিন রাওয়াত, সেনা প্রধান এমএম নারাভানে, বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস বাদোরিয়া, নৌসেনা প্রধান করমবীর সিং।
এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার ও মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর একটি বিশেষ তথ্য তুলে ধরতে চান বলে খবর। সেই বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উপগ্রহ তথ্য নেবে ভারত। সেই লক্ষ্যেই কথা হতে চলেছে দুই দেশের মধ্যে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল অস্ত্র রফতানির হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। মার্ক এস্পার জানান সমমনস্ক দেশগুলিকে অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানোর কথা জানানো হবে। আমেরিকা অস্ত্র রফতানির হার বাড়াতে চায়। চিন ও রাশিয়ার শত্রু দেশগুলিকে আরও অস্ত্রের সম্ভার বাড়াতে হবে বলে এদিন জানিয়েছে এস্পার।
পেন্টাগন প্রধান জানান, আমেরিকা চায় তাঁর বন্ধু রাষ্ট্রগুলির হাতে যথেষ্ট পরিমাণে অস্ত্র থাকুক, যাতে প্রয়োজনে চিন বা রাশিয়ার মোকাবিলা তারা করতে পারে। সেই অস্ত্রের যোগানদার হবে আমেরিকা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব কি তাহলে ভারতকে উদ্দেশ্য করেই কথাগুলি বলেছেন। কারণ সাম্প্রতিক সীমান্ত সমস্যা মূলত ভারত ও চিনের মধ্যে।