বিজয়াতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবল নাইটরা, আরও কঠিন হল প্লে–অফের রাস্তা

পুজো শেষ। করোনা আবহেই মহাদশমীতে গঙ্গায় বিসর্জন হল উমার। মন খারাপ বাঙালির। অন্যদিকে, আরব আমিরশাহিতেও কার্যত বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল KKR-এর। শারজার ব্যাটিং উইকেটে দলের টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় আবারও হারলেন মর্গ্যানরা। ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে হাসতে হাসতে আট উইকেটে ম্যাচ জিতে প্লে–অফের আরও কাছে চলে এলেন কেএল রাহুল, ক্রিস গেইলরা।

এদিন টস জিতে কেকেআরকে প্রথমে ফিল্ডিং নেন কেএল রাহুল (KL Rahul)। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে শুরুতেই সঠিক প্রমাণ করে দেন পাঞ্জাব (Kings Xi Punjab) বোলাররা। প্রথম ওভারেই শূন্য রানে আউট হন গত ম্যাচের নায়ক নীতীশ রানা। পরের ওভারে বল করতে আসেন মহম্মদ শামি। তিনি ওভারের চতুর্থ এবং শেষ বলে আউট করেন রাহুল ত্রিপাঠি এবং দীনেশ কার্তিককে। এরপরই অবশ্য আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া শুভমন গিল এবং অধিনায়ক মর্গ্যান দলের হাল ধরেন। দু’‌জনে মিলে ওই উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন। তাও আবার মাত্র ৪৭ বলে। কিন্তু এরপরই ২৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন মর্গ্যান। এরপরই দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট পড়ে যায় কেকেআরের। গিলও ফেরেন ৫৭ রান করে। শেষদিকে লকি ফার্গুসনের ১৩ বলে ২৪ রানের সৌজন্য নির্ধারিত ২০ ওভারে কেকেআরের রান দাঁড়ায় ন’‌উইকেটে ১৪৯ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই অবশ্য পাঞ্জাব ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রেখেছিলেন নাইট বোলাররা। কিন্তু কেউই উইকেট নিতে পারেননি। ফলে ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় পাঞ্জাব ব্যাটসম্যানরা। ২৮ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে রাহুল আউট হলেও আরেক ওপেনার মনদীপ সিং দুরন্ত ব্যাটিং করেন। উলটোদিক থেকে আবার রান তোলার গতি বাড়ান ক্রিস গেইল। দু’‌জনেই অর্ধশতরান করেন। গেইল আউট হলেও দলকে ৯ উইকেটে সহজ জয় এনে দিলেন। পাশাপাশি বড় ব্যবধানে হেরে নেট রানরেটেও তলানিতে চলে গেলেন নাইটরা (Kolkata Knight Riders)।

এই ম্যাচ হারায় নাইটদের প্লে–অফে যাওয়ার রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল। অন্যদিকে, চতুর্থ স্থানে উঠে আসার পাশাপাশি নেট রানরেটেও অনেকটা এগিয়ে গেলেন কেএল রাহুলরা। এখন প্লে–অফে যেতে হলে নিজেদের ম্যাচ জেতার পাশাপাশি অন্যদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে মর্গ্যানদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.