দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার ধাঁচে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে সব প্রান্তে কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর তাই বিশেষজ্ঞ দল ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যবস্থায় এসএমএস, কিউআর কোড, ডিজিটাল সার্টিফিকেট ইত্যাদি যুক্ত করছে বলে সূত্রের খবর। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পালের নেতৃত্বে কেন্দ্র ভ্যাকসিন এডমিনিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে একটি জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। ২০২১-এর শুরুতে ভ্যাকসিন আসার কথা থাকলেও, এখনই ভ্যাকসিন মজুত ও সরবরাহ নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে।
ভ্যাকসিন প্রাপকদের তথ্য ‘ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক বা ‘ই-ভিন’-এ তুলে রাখা হবে। এটি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এটি ইতিমধ্যেই ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষেধক দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। ভ্যাকসিনের স্টক সম্পর্কে সমস্ত আপডেট থাকে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। তবে এখন তাতে প্রাপকদের তথ্য থাকে না। কোভিড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা হবে। সূত্রের খবর, নির্বাচন প্রক্রিয়ার মতো ভ্যাকসিন প্রদান হবে বিভিন্ন দফায়। এর জন্য বুথের মতো কাজে লাগানো হবে স্কুলগুলিকে। প্রথম পর্বে তিন কোটি জনতাকে ভ্যাকসিন ( Corona vaccine) দেওয়া হবে। সত্তর লক্ষ চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আরও ২ কোটি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করা কোভিড যোদ্ধাদের দেওয়া হবে।
এদিকে, পরিকাঠামো উন্নয়নে দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য সংসদের অনুমোদন চাইবে কেন্দ্র। চলতি মাসের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সড়ক, প্রতিরক্ষা, জল সরবরাহ, নগর উন্নয়ন ইত্যাদি পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বাজেট ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি, কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে পরিকাঠামো উন্নয়নে ১২ হাজার কোটি টাকার ৫০ বছরের সুদ-হীন বিশেষ ঋণের অনুমোদন দিয়েছ। করোনা কালে সংকটে পড়া অর্থনীতি মোকাবিলায় সেটি ছিল কেন্দ্রের তৃতীয় আর্থিক প্যাকেজ। ২০২০-২১ সালের বাজেটে উন্নয়ন খাতে ৪.১৩ লক্ষ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছিল। এই ৩৭ হাজার কোটি টাকা তার অতিরিক্ত।